সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত অভিনেতা সমীর মুখোপাধ্যায় (Samir Mukherjee)। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকেই নাকি অসুস্থ ছিলেন সমীরবাবু। হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। দুদিন আগে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।

বাংলা সিনেমায় সমীর মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। সত্যজিৎ রায়ের একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছোট চরিত্রেও মন কেড়ে নিতে পারতেন। হাসাতে পারতেন, আবার চোখের পলকে কাঁদাতেও পারতেন। শোনা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার। সেই কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। দিন দু’য়েক আগে প্রবীণ অভিনেতাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সকালে হঠাৎ বমি শুরু হয়। অল্প সময়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
[আরও পড়ুন: ‘আমি তো ফাটিয়ে দিয়েছি’, ‘জওয়ান’-এর সাফল্যের অনুষ্ঠানে নয়া হেয়ার স্টাইলে শাহরুখ ]
অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানিয়ে আর্টিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করে লেখা হয়, “বর্ষীয়ান অভিনেতা ও আমাদের সদস্য, সমীর মুখোপাধ্যায় (সদস্য সংখ্যা ১২৮) আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
এই পোস্ট শেয়ার করেই অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী লেখেন, “আমরা বেশ ভুলে যেতে পারি। বড়দের, পুরনোদের, যাঁরা আমাদের হাঁটার রাস্তাটা তৈরি করে দিয়ে গেলেন তাঁদের, যাঁরা এখন বাতিল বা ব্রাত্য তাঁদের — সবাইকে ভুলে মেরে দিয়ে নিজেরা সেই রাস্তায় দিব্যি হাঁটতে পারি সঙ্গে আট/দশজন বাউন্সার নিয়ে (বেশির ভাগ সময়েই অকারণে)। সমীর কাকুকেও ভুলে গেছি আমরা। সত্যজিৎ রায়ের বহু ছবি চললেই তাঁর দেখা পাই, অগুনতি সাদা-কালো বা রঙিন পুরনো বাংলা সিনেমায় ছোট থেকে বড় নানান চরিত্রে অভিনয় করে মানুষকে কখনো হাসিয়েছেন, কখনো রাগিয়েছেন সমীর কাকু। গাড়ি চড়ে স্টুডিওয় ঢুকতে আমি অন্তত কোনদিন দেখিনি। অন্যরা দেখেছেন কিনা জানি না। বেহালায় নিজের অঞ্চলে লুঙ্গি আর ফতুয়া পরে সব্জি বাজার করতে দেখেছি বহুদিন। সাদামাটা জীবন যাপন করলেন বলেই কি আমরা ভুলে গেলাম? নাকি Instagram reel বানান না বলে? কি জানি! তবে ভুলে যে আমরা গেছি, সে বিষয়ে নিশ্চিত। যাই হোক, আর তো দেখা হবে না। ক্ষমা চাওয়ার অপশনটা ও রইলো না। শান্তিতে থেকো সমীরকাকু।”