পুজোর সেকাল-একাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভরেছে স্মৃতির পাতা। শরৎ এলেই তাতে চোখ রাখেন। কেমন ছিল তাঁদের কৈশোর, যৌবনের পুজো? সেসব ভাগ করে নিতে কলম ধরলেন সমাজের বিশিষ্টরা। ‘পুজোর প্রেম’ নিয়ে লিখলেন ইশা সাহা।
তখন ক্লাস এইট কী নাইন হবে, ঠিক মনে নেই। লিলুয়ায় থাকতাম। সেখানেই বাড়ির কাছে যোগেশ্বরী মঠে পুজো হয়। অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার সময় পাড়ারই একটি ছেলের সাথে বেশ চোখাচোখি হল। তারপর পুজোর দু’দিন হালকা ঝাড়ি। তবে ওটুকুই। এগোয়নি। খুব ভিতু ছিলাম তো। যদি কেউ দেখে ফেলে বাড়িতে বলে দেয়, খুব বকা খাব। সেই ভয়েই আর এগোয়নি কিছু। পুজোতেই ক্রাশ, পুজোতেই শেষ। ওই বন্ধুরা সবাই মিলে আনন্দ করা আর কী! তারপর আর আলাদা করে পুজোর প্রেম হয়নি। ঠাকুর দেখতাম। মজা করতাম। বন্ধুরা আড্ডা দিতাম। ব্যস ওটুকুই। আর এখন তো ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখাও হয় না। তাই প্রেম হওয়ার ব্যাপার নেই। পুজো পরিক্রমা থাকে। তা করে বাকি দিনগুলি কোথাও জড়ো হয়ে বিন্দাস আড্ডা চলে বন্ধু-বান্ধব মিলে। সঙ্গে ঘুম।
[ আরও পড়ুন: ধুধুলের কেরামতিতেই অনন্য মণ্ডপ, চোরবাগানের থিম মন কাড়বে দর্শনার্থীদের ]
তবে আমার একটা প্রেম আছে। সেটা পুজোবার্ষিকীর প্রতি। এক্কেবারে ছোট্টবেলা থেকে ভালবাসা। উপন্যাস, ছোট গল্পগুলো পুজোর মধ্যেই না পড়ে নিলে জাস্ট পুজোটা ইনকমপ্লিট থেকে যায়। এবারও তো নর্থবেঙ্গলে শুটিংয়ে যাওয়ার সময় গড়িয়াহাট থেকে চারটে পুজোবার্ষিকী কিনে নিয়ে এলাম। এখানেই কাজের ফাঁকে পড়ে নিচ্ছি। আর নিজের ছবি যদি পুজোবার্ষিকীতে থাকে তবে তো কথাই নেই। সবার আগে গিয়ে কিনে নিই। এবারও মহালয়ার পরই কলকাতায় ফিরছি। কলকাতা থেকে বন্ধুরা তো ফোন করে বলছে, তাড়াতাড়ি যেতে। হোর্ডিং, ব্যানার, আলো সব নাকি কলকাতায় লেগে গিয়েছে। একেবারে পুজো পুজো গন্ধ। ইচ্ছে করছে ছুট্টে চলে যাই।
[ আরও পড়ুন: কলকাতার পুজোয় সরকারি অনুদানের অঙ্ক বাড়তেই আবেদনের হিড়িক উদ্যোক্তাদের ]
The post ‘বকুনির ভয়ে আর প্রেম হয়নি’, পুজোর স্মৃতিচারণায় ইশা appeared first on Sangbad Pratidin.