করোনা কালেই লন্ডনে ‘স্বস্তিক সংকেত’-এর শুটিং করছেন।এদিকে কলকাতায় ‘SOS কলকাতা’র মুক্তি আসন্ন। বিদেশ থেকেই টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে নিজের মনের কথা জানালেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। শুনলেন শম্পালী মৌলিক।
লন্ডনে শুটিং কেমন চলছে?
ভীষণ ভাল কিন্তু খুব হেকটিক। আমাদের টাইম কন্সট্রেন্ট-এর মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। এবং আবহাওয়ার কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। যে কোনও সময় বৃষ্টি পড়ছে। ঠান্ডা হাওয়া। একেবারে এক্সট্রিম ওয়েদার কন্ডিশন যাকে বলে। কিন্তু তার মধ্যেও বলব, চিত্রনাট্য এত ভাল যে, আর্টিস্ট হিসাবে পারফর্ম করতে ভাল লাগছে।
‘স্বস্তিক সংকেত’ ছবিতে আপনি ছাড়া আর কারা রয়েছেন? কী ধরনের ছবি?
আমার সঙ্গে রয়েছে গৌরব, রুদ্রনীলদা, শাশ্বতদা। আমি ‘রুদ্রাণী’-র চরিত্রে। যে বেসিকালি একজন লেখক। সরকারি চাকরি করে। কিন্তু চরিত্রটার অনেক শেড আছে। সে একটা রহস্য সন্ধানে নামে। এর বেশি বলা যাবে না (হাসি)।
আনলক পর্বে প্রথম শুটিং শুরু করেছিলেন আপনি, মিমি, যশ আর এনা। তার ফল এবার পুজোয় বড় পর্দায়। ভয় কাটিয়ে লোকে হল-এ যাবে মনে হয়?
লকডাউনের পর প্রথম আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম, যেটা হল ‘SOS কলকাতা’। ওপরওয়ালার কৃপায় আমরা ছবিটা রিলিজ করতে চলেছি ২১ অক্টোবর। আই অ্যাম
ভেরি হোপফুল। সকলে এতদিন বাড়িতে বসে বোরড হয়ে গিয়েছে, সিনেমা হল-এর ফ্লেভারটাই যেন ভুলতে বসেছে। তাই আশা করছি, লোকজন হল-এ যাবে আর ছবিটা দেখবে।
আর কোভিড-এর ভয়?
এখনও করোনা রয়েছে, লোকের মনে ভয় রয়েছে। তবু এই সব ভয় সত্ত্বেও মানুষ হেরে যায়নি। তাঁরা লড়ছেন। অফিস যাচ্ছেন, কাজ করছেন। তাঁদের নিজের বিনোদনের জন্যও একটা স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা চলছে। তাই মনে হয় হলেও যাবেন। ‘নিউ নর্ম্যাল’ জীবনটাকে বুঝে নিয়েই।
এই ছবিতে আপনি আর মিমি একসঙ্গে। যতই বন্ধু হোন না কেন, আপনাদের মধ্যে চাপা প্রতিযোগিতা কি নেই?
দেয়ার ইজ আ হেলদি কম্পিটিশন বিটুইন এভরি আর্টিস্ট। শুধু আমি আর মিমি কেন! তবে এখানে পরস্পরের সঙ্গে কমপিট না করে আমরা নিজেদের সঙ্গে কমপিট করছি। এই অতিমারীতে তো আমরা প্রত্যেকে যুদ্ধ করছি। একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কী লাভ! লোকে যদি মনে করে আমাদের মধ্যে হেলদি কম্পিটিশন আছে, তারা ভাবতেই পারে। আই হ্যাভ নো ইস্যুজ অন দ্যাট।
[আরও পড়ুন: ‘কার্টুনের জন্য শিক্ষকের মুণ্ডচ্ছেদ, এই ধর্মকে সমর্থন করেন কী করে’, প্যারিস কাণ্ডে তোপ কঙ্গনার]
আপনার চরিত্রটা কেমন ‘এসওএস কলকাতা’য়?
এখানে আমি ‘আমান্ডা জোনস’, যখন স্ক্রিপ্ট শুনেছিলাম দ্বিতীয়বার ভাবিনি। কারণ, শি ইজ ইন্টেলিজেন্ট। টাফ ফাইটার। খুব স্মার্ট চরিত্র। লোকে যখন দেখবে ছবিটা, বুঝতে পারবে চরিত্রটা কতটা আলাদা আমার করা বাকি চরিত্রগুলো থেকে। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল, তাই মজা পেয়েছি।
সাংসদ, না অভিনেত্রী সত্ত্বা– কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন?
সাংসদ নিজের জায়গায়। অভিনেত্রী নিজের জায়গায়। আমি দু’জনের মধ্যে তুলনা করব না কোনওদিন। চেষ্টা করি, দ্যাট আই ডু জাস্টিস টু বোথ দ্য রোলস দ্যাট আই প্লে ইন লাইফ।
কখনও টিকটক করে, কখনও দুর্গা সেজে, কখনও অকারণে, কখনও সকারণে ট্রোলড হয়েছেন এ বছর। কীভাবে দ্যাখেন?
একই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি বোরড। আবার বলছি, ট্রোলস আমাকে সত্যিই সেভাবে এফেক্ট করে না। আমি ডেথ থ্রেটসও পেয়েছি, কিন্তু তাতেও সত্যি সত্যি আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমি নিজেকে অন্য কারও জন্য পালটাতে পারব না। যেটা মনে হয় ঠিক, আমি সেটাই করব।
এবার পুজোয় নতুন কোন ছবিটা আগে দেখতে চান? কীভাবে পুজো কাটাবেন?
চেষ্টা করব সবক’টা ছবি দেখার। ‘এসওএস কলকাতা’ তো দেখবই। পুজোয় বাড়িতে কাটাতে চাই। যেভাবে এত বছর কাটিয়েছি। সাধারণত বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাই। এ বছরও বাড়িতেই সবাই মিলে মজা করব (হাসি)।