স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ‘একম’। যার মূল লক্ষ্য ছিল উৎসবের আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের একতা বৃদ্ধি করা। অ্যাডামাস নলেজ সিটির অ্যাডামাস ওয়ার্ল্ড স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠানের শুরুতে কুচকাওয়াজে পা মেলান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০টি স্কুলের পড়ুয়ারা।
কুচকাওয়াজ শেষে শ্রেষ্ঠদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরার পদক। অনুষ্ঠিত হয় ‘একম সংগীত’-ও। পতাকা উত্তোলন শেষে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সমিত রায়। এর পর মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে তাঁর পাশাপাশি অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুরঞ্জন দাস ও বিভিন্ন বিভাগের ডিনেরা। মশাল জ্বালিয়ে উদ্বোধন করা হয় মূল অনুষ্ঠানের। অ্যাডামাসে (Adamas University) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। সেখানে তুলে ধরা হয় দেশের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ প্রান্ত ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন ধারা ও রীতিনীতি। অনুষ্ঠিত হয় ভিন্ন স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয় ভারতের বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতি ও বৈচিত্র।
[আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি ইডির, গভীর রাতে গ্রেপ্তার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য]
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলেও আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ৯ জানুয়ারি সাহিত্য প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তাঁদের নিয়ে হবে সাহিত্যের আলোচনা সভা। ১০ জানুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশ নেবেন স্থিতিশীলতার উপর আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে। ১১ জানুয়ারি নানা স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য পরিবেশনা ও পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হবে অনুষ্ঠানের শেষ অংশ। ‘একম’-এর অংশ হিসাবে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সমিত রায় বলেন, ‘‘অ্যাডামাসে একম উদযাপনের মধ্য দিয়ে জোর দেওয়া হল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বিষয়টিতে। এই অঙ্গীকারের যে আনন্দ, তা ভাগ করে নেওয়া হল উপস্থিত সকলের সঙ্গে। এই মুহূর্তগুলো সকলের মনে আজীবন সযত্নে লালিত থাকবে।’’ ভাইস চ্যান্সেলর সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘একম অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় এক সম্মিলিত চেতনার প্রতীক, যেখানে বৈচিত্রের বিকাশের পাশাপাশি একতাও সমানভাবে উপস্থিত। আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও নিষ্ঠার যে শক্তি, তা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করলাম আমরা।’’