সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগুইআটিতে মৃত স্কুল ছাত্র অতনু দে’র বাড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মৃত ছাত্রের বাড়িতে যান তিনি। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার থেকে বাগুইআটির দুই স্কুল ছাত্রের খুনের ঘটনায় উত্তাল বাগুইআটি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাগুইআটির (Baguiati) জগৎপুরে অতনু দে’র বাড়িতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অদিতি মুন্সি, সৌগত রায়, সুজিত বসুরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তারপরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে অতনু দে’র বাড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এর কোনও সান্ত্বনা হয় না।”
[আরও পড়ুন: বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বজনীন করতেই পুজো অনুদান, হাই কোর্টে জানাল রাজ্য]
সেই সময়ই পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ উষ্মা প্রকাশ করেন অধীর। বলেন, “সরকারের পুলিশের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশ যদি সক্রিয় হত তাহলে হয়তো এই দুটো ছেলেকে প্রাণও হারাতে হত না। এখন সাসপেন্ড করে কোনও লাভ নেই। এসব মরার উপর আতর ছড়ানো। পুরোটাই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা।” সবমিলিয়ে বাগুইআটি কাণ্ডের দায় সরকারের উপরই চাপিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ২২ আগস্ট। ওই দিনই পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী জামাইবাবু সত্যেন্দ্রর সঙ্গে বেরিয়েছিল অতনু দে। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি দুই কিশোর। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এরপরই ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ যায় অতনুর বাবার কাছে। ২৪ তারিখ পুলিশের দ্বারস্থ হন অতনুর বাবা। ১৪ দিন পর অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হয় ২ কিশোরের দেহ। তারপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বাগুইআটি থানার ওসিকে ক্লোজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। শুক্রবারই গ্রেপ্তার হয়েছে মূল অভিযুক্ত।