ধীমান রায়, কাটোয়া: দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন রূপশ্রী প্রকল্প। সরকারিভাবে তাতে অনুদান পাওয়া যায় ২৫ হাজার টাকা। এই অনুদান পেতে নিয়ম অনুযায়ী পাত্রীপক্ষকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা করতে হয় বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ও অন্যান্য তথ্য। জমা দিতে হয় পাত্রপক্ষেরও বিবরণ। আর সেই তথ্য জমা করতেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ দেখা গেল, এখনও বিবাহের বয়সই হয়নি পাত্রের৷ ফলে বন্ধ হয়ে গেল বিয়ে৷
[বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে ধস, মৃত ৩ ]
সচরাচর শোনা যায় পাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় প্রশাসন থেকে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটল উলটপুরাণ। এখানে পাত্রই নাবালক৷ ফলে রূপশ্রীর আবেদন করতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে বন্ধ হয়ে গেল বিয়ে। বৃহস্পতিবার ভাতার ব্লক অফিসে পাত্র ও পাত্রীপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷ তাঁদের সমস্ত বিষয়টি বোঝান তাঁরা। এরপরই বন্ধ করা হয় বিয়ে। ভাতার ব্লক প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক সৌমিত্র গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পাত্রপক্ষ মুচলেখা দিয়েছে৷ তারা জানিয়েছে, ছেলের ২১ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না। পাত্রীপক্ষও তাতে সম্মতি দিয়েছে।”
[বাধা নয় পরিকাঠামো, পিত্তনালিতে বিরল অস্ত্রোপচার বাঁকুড়া মেডিক্যালে]
জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি ভাতারের বামশোর গ্রাম৷ আর তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল ভাতারের কর্জনা গ্রামের এক নাবালকের সঙ্গে। ছাপানো হয়ে গিয়েছিল বিয়ের আমন্ত্রণপত্র। তা বিলি করতেও শুরু করেছিলেন উভয় পরিবারের লোকরা৷ ওই বিয়ের আমন্ত্রণপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ নিয়েই এদিন ভাতার ব্লক অফিসে গিয়েছিল পাত্রীপক্ষ৷ তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল রুপশ্রী প্রকল্পের সাহায্য পাওয়া। ভাতার ব্লকের কন্যাশ্রী বিভাগের আধিকারিক উজ্জ্বল সামন্ত বলেন, ‘‘বামশোর গ্রামের পরিবারটি রূপশ্রীর প্রকল্পের সাহায্য পেতে, যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জমা করে, তাতে পাত্রীর বয়স ছিল ১৯ বছর। কিন্তু পাত্রের বয়স ২১ হয়নি। হিসাব করে দেখা গিয়েছে পাত্রের বয়স ২১ হতে এখনও প্রায় দেড় বছর বাকি। তাই ওই বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”