সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে যেসব সংস্থা সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখে, তাদের অন্যতম আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কেটি থমাস। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা থেকে দেশকে মুক্তি করার জন্য যদি কোনও সংগঠনকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তাহলেই আমি আরএসএসকে দেব। যদি জানতে চান, ভারতে কেন মানুষ নিরাপদে বসবাস করছে, তাহলে আমি বলব, সংবিধান আছে। গণতন্ত্র আছে। সেনাবাহিনী আছে। সৌভাগ্যবশত আরএসএসও আছে।’
[নকশা করা বোরখা পরা যাবে না, মুসলিম মহিলাদের জন্য জারি নয়া ফতোয়া]
আধার কার্ডই হোক কিংবা অসমে নাগরিকপঞ্জি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগে সরব বিরোধীরা। অভিযোগ উঠেছে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। এমনকী, মানুষ কী খাবে, কী পরবে, তাও ঠিক করতে দিতে চাইছে মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন জোগালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কেটি টমাস। রবিবার কেরলের কোট্টায়াম জেলায় আরএসএসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। কী বলেছেন তিনি? সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কেটি থমাস বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য যদি কোনও সংগঠনকে কৃতিত্ব দিতে হয়, তাহলেই আমি আরএসএসকে দেব। যদি জানতে চান, ভারতে কেন মানুষ নিরাপদে বসবাস করছে, তাহলে আমি বলব, সংবিধান আছে। গণতন্ত্র আছে। সেনাবাহিনী আছে। সৌভাগ্যবশত আরএসএসও আছে।’ বৃহস্পতিবার তাঁর এই মন্তব্যটি টুইট করেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। আর তাতেই জমে উঠেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, একজন প্রাক্তন বিচারপতি কীভাবে আরএসএসের মতো একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিতে পারেন?
১৯৯৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন কেটি টমাস। শীর্ষ আদালতে যে ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিল, সেই বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে সামাজিক কাজে অবদানের পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন এই বিচারপতি।
[লে থেকে ১৫ মিনিটেই শ্রীনগর, এশিয়ার দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ নিয়ে তথ্যগুলি জানেন?]
The post ভারতবাসীদের সুরক্ষিত রেখেছে আরএসএস, প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে appeared first on Sangbad Pratidin.