সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নগদ ব্যবহার কার্যত অতীত। বর্তমানে প্রায় সকলেই অনলাইন অর্থাৎ ইউপিআই-এর মাধ্যমেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সারেন। প্রতারণার অভিযোগও মেলে প্রায়ই। লোকসভায় রাজ্য অনুযায়ী ইউপিআই প্রতারণার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মোট পরিসংখ্যান দিলেও রাজ্যের ভিত্তিতে তথ্য দিতে পারল না কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, রাজ্যের ভিত্তিতে তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে।
বিষয়টা ঠিক কী? লোকসভায় ইউপিআই প্রতারণা সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, বাংলায় ইউপিআই জালিয়াতির পরিমাণ কত? ৭ দিন ও ৩০ দিনের মধ্যে কোন রাজ্যে কতগুলো প্রতারণার ঘটনার সমাধান করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় ব্যাঙ্কগুলোর ভূমিকা কী তা-ও জানতে চান সাংসদ। তার জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানেই স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া রাজ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ নথিভুক্ত করে না। অর্থাৎ রাজ্যের ভিত্তিতে কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে।
কেন্দ্র্রের তরফে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের দেশে যা অভিযোগ জমা পড়েছে তার মধ্যে ২২ শতাংশের ক্ষেত্রে সাতদিনের মধ্যে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৯২ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সময়টা ৩০ দিন। এই ধরণের ঘটনার সমাধানে কোন ব্যাঙ্ক কতটা সফল সেই সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, অনলাইন লেনদেন যতটা সুবিধার, তেমনই অসুবিধাও রয়েছে প্রচুর। তথ্য হাতিয়ে নিমেষেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে পারে প্রতারকরা। এই ধরণের ঘটনার অভিযোগ জমা পড়ে ভুরি ভুরি। কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে বারবার সতর্ক করা হয় আমজনতাকে। তা সত্ত্বেও মুহূর্তের ভুলে প্রতারকদের জালে জড়িয়ে পড়েন অনেকে।
