সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধারের তথ্য ভাণ্ডারে যখন তখন উঁকি মারার অধিকার চায় বেসরকারি সংস্থা ও আর্থিক সংস্থাগুলি। সেজন্য তারা চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার এই উঁকি মারার অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে উপযুক্ত আইন আনুক। বিল পাস করুক সংসদে। কারণ ব্যবসায়িক স্বার্থেই নাগরিকদের জৈব, আর্থিক ও সাংসারিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ভাণ্ডারকে হাতের মুঠোয় রাখতে তৎপর ওই সংস্থাগুলি। কিন্তু বাদ সেধেছে সুপ্রিম কোর্টের নয়া রায়।
[অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকে না গ্রামে, হাসপাতালে রোগী পৌঁছাতে ভরসা খাটিয়াই]
রায় মেনে আধারের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল ফোনের সংযোগ ডি-লিঙ্ক করাও শুরু করে দিয়েছেন অসংখ্য ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে আধার কার্ড করাবেন এমন কোটি কোটি দেশবাসীও বেসরকারি ও আর্থিক সংস্থাগুলিকে তাঁদের আধার তথ্য দিতে চাইবেন না। এতেই বিপদে পড়েছে সংস্থাগুলি। কারণ নাগরিকের গোপন আধার তথ্য জেনেই তাঁরা তাঁদের ব্যবসার কৌশল সাজিয়েছেন। নাগরিকদের আধারের তথ্য ছিল ওই সংস্থাগুলির কাছে ব্যবসায়িক নিরাপত্তার একটা বড় হাতিয়ার। সেই আধার তথ্য আর হাতে না থাকলে খুব মুশকিল। তাই তাঁরা সবাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ‘জোর তদ্বির’ শুরু করেছেন যাতে সরকার সংসদে এমন আইন আনুক বা বিল পাস করুক যাতে নাগরিকদের আধারের তথ্য ওই সব বেসরকারি সংস্থা ও আর্থিক সংস্থাগুলির হাতেও থাকে। না হলে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও সময় সাপেক্ষ ও জটিল হয়ে যাবে।
[মোদির পাশে দাঁড়ানোর জের, পওয়ারের দল ছাড়লেন হেভিওয়েট নেতা]
ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার হল দ্য পেমেন্টস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই)। পিসিআইয়ের চেয়ারম্যান বিশ্বাস প্যাটেল একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে পিসিআইয়ের কর্তারা জরুরি বৈঠক সেরেছেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নাগরিকদের আধার কার্ডে আগের মতোই নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ‘দরবার’ শুরু করবেন। এজন্য সরকারের কাছে উপযুক্ত যুক্তি সাজিয়ে নির্দিষ্ট ‘প্রেজেন্টেশন’ পেশ করা হবে পিসিআই ও মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। কেন তাঁরা আধারে নিজেদের অধিকার রাখতে চান তা জানানো হবে।
[অনলাইন কেনাকাটির প্রতিবাদ, ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ভোগান্তি]
প্যাটেল বলেছেন, ‘‘নাগরিক আধার তথ্য ব্যবহারের ইস্যুটির যদি সমাধান না হয় তাহলে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে কয়েক বছর পিছিয়ে যাব। মার খাবে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা।’’ একই মত প্রকাশ করেছেন বেঙ্গালুরুর মেট্রো বাইকসের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা বিবেকানন্দ এইচ আর এবং ইউআইডিএআই—এর প্রাক্তন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ শ্রীকান্ত নন্দমুনি।