সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের আশীর্বাদ নাকি আবার কোনও অঘটনের ইঙ্গিত? নাকি ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনও অশনি সংকেত? ইউরোপ-আমেরিকায় হঠাৎ দৃশ্যমান ‘মনোলিথ’ (Monolith) ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। কোথা থেকে আসছে এই ধাতব পাত, গায়েবই বা হচ্ছে কোথায়? এমন হাজারো প্রশ্ন ভিড় করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই রহস্যে নতুন মোড় এনেছে ক্যালিফোর্নিয়া। আমেরিকায় উটাহ-রোমানিয়ার পর এবার ক্যার্লিফোর্ণিয়ার পাহাড়ে দেখা মিলল এই মনোলিথের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই মনোলিথের ছবি।
[আরও পড়ুন : বলসোনারোর আমলেই সবচেয়ে বেশি বৃক্ষ নিধন হয়েছে আমাজনে, বলছে পরিসংখ্যান]
কিন্তু কী এই মনোলিথ? কেন-ই বা একে নিয়ে এত রহস্য? প্রিজম আকৃতির চকচকে ধাতব একটি স্তম্ভ। যা এই মুহূর্তে ‘মনোলিথ’ হিসেবে পরিচত। হঠাৎই অঘটনের বছরে ১৮ নভেম্বর এই ধাতব পাতের দেখা মেলে উটাহর (Utah) পর্বতে। ওই পর্বতে এমন চকচকে ধাতব প্রিজম কোথা থেকে এল তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সেই শোরগোল আরও বাড়িয়ে দেয় আচমকা মনোলিথটির অন্তর্ধান রহস্য। মজার বিষয় হল, ২৭ নভেম্বর মনোলিথটি উধাও হয়। আর এদিকে ইউরোপের রোমানিয়ার (Romania) পবিত্র পাহাড়ে ২৬ নভেম্বর রাতে এক মনোলিথের দেখা মেলে। দুটিকে প্রায় একই রকম দেখতে। জানা গিয়েছে, রহস্যময় ধাতব পাতগুলি প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু। চকচকে। তিনকোনা যুক্ত। রোমানিয়ার পাতটির গায়ে গ্রাফিত্তি করা ছিল বলে দাবি। উটাহর মতো রোমানিয়ার মনোলিথটিও গায়েব হয়ে যায়।
এবার তৃতীয় মনোলিথের দেখা মিলল ক্যালিফোর্নিয়ায় (Carlifornia)। ছোট শহর অ্যাটসকাডেরো পাইন পাহাড়ে এই ধাতব পাতের দেখা মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত খবর, তিনকোণা ধাতব পাতটি বেশ চকচকে। উচ্চতায় ১০ ফুট, ১৮ ইঞ্চি চওড়া। প্রতিটি কোণায় এটি সুন্দরভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এর দুদিকে স্টিল ফ্রেম দেওয়া রয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে এল এই মনোলিথ? সেই উত্তর অবশ্য মেলেনি।
[আরও পড়ুন : মহাকাশে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে চলে এসেছিল ভারত ও রাশিয়ার উপগ্রহ! অল্পের জন্য এড়াল সংঘর্ষ]
উল্লেখ্য, একের পর এক মনোলিথের আবিষ্কার ১৯৬৮ সালের স্ট্যানলি কিউব্রিক পরিচালিত ক্লাসিক সিনেমা ‘2001: A Space Odyssey’-এর স্মৃতি উসকে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, মহামারীর বছরে এই ধাতব পাতের আকস্মিক আবির্ভাব ও অন্তর্ধান রহস্য কি ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদ নাকি আবার কোনও অভিশাপের সূত্রপাত? অথবা এই মনোলিথের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা চালাচ্ছে ভিনগ্রহের প্রাণীরা। কে দেবে সেই উত্তর?