সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ে জড়িয়েছে যৌন ব্যবসায়। হোয়াটসঅ্যাপ কলে এক 'পুলিশ অফিসারের' ফোনে এমন কথা শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে। আগ্রার বাসিন্দা ওই মহিলার কাছে ১ লক্ষ টাকাও চায় ওই জালিয়াত। আতঙ্কিত হয়ে নিজের ছেলেকে ফোন করে ওই টাকা ট্রান্সফার করার আর্জিও জানান তিনি। শেষপর্যন্ত সেই মহিলার মৃত্যু হয় আতঙ্কে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, স্কুলে শিক্ষকতা করতেন ওই মহিলা। ঘটনার দিন বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মহিলার ছেলে দিব্যাংশু বলেছেন, তাঁর মা তাঁকে ফোন করলে জালিয়াতের নম্বরটি যাচাই করে দেখেন তিনি। আর তখনই বুঝতে পারেন ফোন এসেছে পাকিস্তানের কোনও প্রান্ত থেকে। তাঁর কথায়, ''ফোন পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মা আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তা পাঠাতে বলি। তার পর সেটা চেক করে দেখি নম্বরের শুরুতে +৯২ রয়েছে। আমি তখনই বুঝতে পারি এটা জালিয়াতি। কিন্তু ওঁকে বোঝানোর পরও উনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। আমি ওঁকে বলি আমি বোনের সঙ্গেও কথা বলেছি। সে কলেজে রয়েছে। ঠিকই আছে।''
কিন্তু এতেও লাভ হয়নি। মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনার প্রতিবাদ করে কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডলে তোপ দেগেছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, সরকারকে এই ধরনের 'সাইবার অ্যারেস্ট' আটকাতে হবে। এর জন্য যথোপচিত পদক্ষেপ করা দরকার। হাত শিবিরের দাবি, এটাই এদেশে প্রথম 'ডিজিটাল অ্যারেস্টে'র ঘটনা নয়। প্রতিদিনই এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। সাইবার অপরাধীরা নিয়মিত সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করে চলেছে।