দুলাল দে: বিদেশি নয়, আপাতত জাতীয় দলের দায়িত্ব যেতে পারে দেশি কোচের হাতেই। জাতীয় কোচ ইস্যুতে ফেডারেশন (AIFF) কর্তারা অন্তত এক বছরের জন্য ভারতীয় কোচের দিকেই ঝুঁকতে চলেছেন বলে খবর।
আপাতত জাতীয় দলের খেলা বলতে, সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিদেশীয় দলের খেলা। এই বছর ভারতীয় দলের সঙ্গে আরও দুটি দল হওয়ার সম্ভাবনা থাইল্যান্ড আর ভিয়েতনামের। এর থেকে ভালো মানের প্রতিপক্ষ এই মুহূর্তে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাসে ত্রিদেশীয় নেশনস কাপ (Nations Cup) অনুষ্ঠিত হবে হায়দরাবাদে। তার পরের মাসেই ভারতীয় দল থাইল্যান্ডে যাবে ফিফা (FIFA) ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার জন্য। নভেম্বরে আরও একটি ফিফা ফ্রেন্ডলি রয়েছে ভারতীয় দলের। সেরকমভাবে দেখতে গেলে মার্চের আগে বড় কোনও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নেই জাতীয় দলে। মার্চে শুরু হবে এশিয়ান কাপের (Asian Cup) জন্য কোয়ালিফাইং রাউন্ড।
[আরও পড়ুন: গম্ভীর নন, আগরকরের ইচ্ছাতেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্য? দল ঘোষণার পরে জোর চর্চা]
ফেডারেশন কর্তাদের ভাবনা হল, এই মুহূর্তে বিদেশি কোচ নিয়ে এলে, এখন থেকেই প্রতি মাসে বিশাল বেতন দিতে হবে ফেডারেশনকে। ফলে মার্চের আগে পর্যন্ত কোনও ভারতীয় কোচকে দিয়ে আপাতত জাতীয় দলকে চালিয়ে নেওয়ার ভাবনা। সে যদি এই সুযোগে জাতীয় দলকে নিয়ে ভাল ফল করেন, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রেও তাঁকেই জাতীয় কোচের পদে রাখা হবে। আর এর মধ্যে তিনি ব্যর্থ হলে তখন বিদেশি কোচকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ফেডারেশন কর্তারা মনে করছেন, মার্চের মধ্যে ইগর স্টিমাচের (Igor Stimac) সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি নিয়ে সমস্যাটাও মিটে যাবে। বর্তমানে ফেডারেশন যেরকম আর্থিক সমস্যা নিয়ে চলছে, একটু সময় পেলে সেই আর্থিক সমস্যাও কাটিয়ে ওঠার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]
সেই কারণেই ত্রিদেশীয় নেশনস কাপ আর ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচগুলি আপাতত কোনও ভারতীয় কোচকে জাতীয় কোচের পদে রেখে চালিয়ে নেওয়ার ভাবনা। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।