সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারই নতুন না, আগেও একাধিকবার কপ্টার অথবা বিমান দুর্ঘটনায় (Helicopter and Plane Accident) মৃত্যু হয়েছে একাধিক সেনা আধিকারিক থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। দুর্ঘটনাস্থল কখনও অরুণাচলের জঙ্গল, কখনও দিল্লির ফ্লাইং ক্লাব সংলগ্ন এলাকা, কখনও বা উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম।
বিপিন লক্ষ্মণ সিং রাওয়াত
বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরের নীলগিরির জঙ্গলে ভেঙে পড়ল সেনা চপার এমআই ১৭। তাতেই মৃত্যু হল ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক বিপিন লক্ষ্মণ সিং রাওয়াতের (Bipin Rawat)। সেনা প্রধান, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা-সহ কপ্টারে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘চিনের মতো হতে না চেয়ে নিজেদের শক্তির দিকে জোর দিক দেশ’, মন্তব্য রঘুরাম রাজনের]
ডোরজি খান্ডু
২০১১ সালে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডোরজি খান্ডুর (Dorji Khandu)। কপ্টারটি ছিল ইউরোকপ্টার বি৮। তাওয়াং থেকে ইটানগর যাওয়ার পথে অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলায় আকাশপথে দুর্ঘটনা ঘটে। পরে জানা যায়, সিঙ্গল ইঞ্জিনে গন্ডগোলের কারণেই ঘটে বিপত্তি।
ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি
২০০৯ সালে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির (YS Rajasekhara Reddy)। কপ্টারটি ছিল বেল ৪৩০ সিরিজের। দুর্ঘটনা ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশ-রায়ালসীমার কাছে নাল্লামালা জঙ্গলে। হাজার অনুসন্ধানের পরেও দেহ মেলেনি অন্ধ্রপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির বাবা তথা ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির।
[আরও পড়ুন: বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে আর কারা ছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারে?]
মাধবরাও সিন্ধিয়া
২০০১ সালে উড়ান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কংগ্রেস সাংসদ তথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধবরাও সিন্ধিয়ার (Mahav Rao Scindia)। তবে কপ্টারে নয়, কংগ্রেস নেতার ব্যক্তিগত বিমান বিচক্র্যাফট কিং এয়ার সি৯০ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের মঈনপুরি জেলার কাছে মোট্টা গ্রামে।
সঞ্জয় গান্ধী
১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইন্দিরাপুত্র (Indira Gandhi) কংগ্রেস সাংসদ সঞ্জয় গান্ধীর (Sanjay Gandhi)। বিমানটি ছিল পিটস স্পেশাল-২এ এয়ারক্র্যাফট। দিল্লি ফ্লাইং ক্লাবের কাছে তরুণ কংগ্রেস নেতার বিমানটি ভেঙে পড়ে।
এছাড়াও ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বরে দার্জিলিংয়ের সুকনায় সামরিক ঘাঁটির কাছে ভেঙে পড়ে সেনার একটি কপ্টার। ওই দুর্ঘটনায় তিনজন উচ্চপদস্থ সেনা অধিকারিকের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা হলেন মেজর সঞ্জীব লাথার, মেজর অরবিন্দ বাজার ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল রজনীশ কুমার।