সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানে মাঝআকাশে বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। আর এবার অভিযুক্তর বিস্ফোরক দাবি, তিনি নাকি প্রস্রাব করেননি। বরং ওই বৃদ্ধা প্রস্রাব করে নিজেই নিজের শরীর ভিজিয়ে ফেলেন।
শুক্রবার অভিযুক্ত শংকর মিশ্রকে দিল্লির এক আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, বিমানে সহযাত্রীর উপর তিনি প্রস্রাব করেননি। তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এমনকী তিনি এও বলেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে (Air India) ওই বৃদ্ধা নিজেই প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। বেশিরভাগ কত্থক শিল্পীদের প্রসটেটের সমস্যা থাকে। ওই বৃদ্ধারও ছিল। তাই গোটা ঘটনাটা যখন ঘটে গিয়েছে, ওই মহিলা বুঝতে পারছিলেন না কী হয়ে গেল। পাশাপাশি আদালতে এই যুক্তিও দেওয়া হয় যে বিমানে এমন ভাবে আসন ভাগ করা থাকে যে কেউ কারও আসনে যেতে পারে না। একমাত্র পিছন দিক থেকে প্রস্রাব করলে তাঁর আসন পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব। তবে কেউ প্রস্রাব করলে তা ওই বৃদ্ধার আসনের সামনে পর্যন্ত যাবে না। আর তাঁর পিছনের যাত্রী এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ করেননি। অর্থাৎ প্রস্রাব যে তিনি বলেননি, সেই দাবিই জানিয়েছেন আদালতে।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে জাকির হোসেনকে তলব আয়কর দপ্তরের, ‘সব হিসাব দেব’, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল বিধায়ক]
তবে অভিযুক্ত শংকরের দাবি শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন কত্থক শিল্পীরা। নামী নৃত্যশিল্পী শোভানা নারায়ণ ক্ষোভ উগড়ে বলে দেন, “মূর্খের মতো অত্যন্ত হাস্যকর মন্তব্য করা হয়েছে। কেউ নিজের আসন ভিজিয়ে ফেলতে পারে, কিন্তু নিজের উপর প্রস্রাব করতে পারে না।” ঘটনা গত ২৬ নভেম্বরের। তার এতদিন পর আচমকা অভিযুক্ত শংকরের এহেন বয়ানে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট শংকরের জামিনের আরজি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) দাবি করেছিল, শংকরকে জামিন দিলে অভিযোগকারিণীকে প্রভাবিত করতে পারেন। অভিযোগকারিণীর আইনজীবীও আদালতে জানান, শংকরের বাবা প্রবীণ মহিলাকে মেসেজ পাঠান, “এর ফল ভুগতে হবে”। যদিও পরে মেসেজ ডিলিট করে দেন।