সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে প্রত্যাবর্তন। ৩০৩ ভারতীয়কে নিয় দেশে ফিরল ফ্রান্সে আটকে পড়া যাত্রীবাহী বিমান। বিদেশে দিন তিনেক আটকে থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে মুম্বই বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্লেনটি। তবে ২৭ যাত্রী এখনও ফ্রান্সে রয়ে গিয়েছেন। সেদেশে আশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এখনও এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি প্যারিসের তরফে বলে খবর।
রবিবার ফ্রান্সের এক আদালত বিমানটিকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দেয়। তার পর সোমবার সেটিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে বিমানটি ভারতের উদ্দেশেই পাড়ি দিচ্ছে কি না, তখনও তা স্পষ্ট ছিল না। এদিন ফরাসি প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। বলে রাখা ভালো, ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী, কোনও বিদেশি নাগরিককে প্রাথমিকভাবে চার দিন আটকে রাখতে পারে পুলিশ। বিচারকের অনুমতিসাপেক্ষে সেই মেয়াদ আট দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। বিশেষ পরিস্থিতিতে এই সময়সীমা বর্ধিত করা যায় ২৬ দিন পর্যন্ত। মানুষ পাচারের অপরাধে ফ্রান্সে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুবাই থেকে নিকারাগুয়াগামী চার্টার্ড বিমানটিকে ফ্রান্সের ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়েছিল। তাতেই ৩০৩ জন ভারতীয় ছিলেন। যাদের মধ্যে ছিল ১১ নাবালকও। ‘মানব পাচার’ সন্দেহে বিমানটিকে আটকায় স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি ফ্রান্সের ভারতীয় দূতাবাসে জানানো হয়। দূতাবাসের এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয় দূতাবাসের তরফে। সেখানে বলা হয়, “ফ্রান্সের ওই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন যে দুবাই থেকে নিকারাগুয়াগামী একটি বিমানকে ফরাসি বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দূতাবাসের আধিকারিকরা। আমরা পরিস্থিতি তদন্ত করছি এবং যাত্রীদের সুস্থতাও নিশ্চিত করার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছিল ফরাসি পুলিশ। ফরাসি পুলিশের সংগঠিত অপরাধদমন শাখা, সীমান্ত পুলিশ ও উড়ান নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনার তদন্ত করছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এ৩৪০ এয়ারবাসের সকল যাত্রীদের দু’দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পরেই সেটিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।