শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: দলবদল জল্পনা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকে বারবার দাবি করেছেন যে ‘চোরের দল’ তৃণমূলে তিনি যাবেন না। কিন্তু তারপরও বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে (Hiran Chatterjee) নিয়ে ঘাসফুল শিবির ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির হুঁশিয়ারি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে হিরণের কী কথোপকথন হয়েছিল, সেই অডিও তিনি ফাঁস করে দেবেন। হিরণ তৃণমূলে যোগ দেওয়র জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে চেয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর। তবে এসব শুনে কার্যত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই হিরণের সংক্ষিপ্ত জবাব, অডিও প্রকাশ্যে আনতে চাইলে আনুন অজিত মাইতি।
কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল (TMC) নেতা অজিত মাইতি ও হিরণের একটি ছবি। বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ছবি। তবে হিরণ এতদিন চুপই ছিলেন। গত শনিবার নীরবতা ভাঙেন অভিনেতা। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন তাঁর দলবদলের জল্পনা নিয়ে। প্রথমেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা পুরোপুরি ভুয়ো। হিরণের দাবি, প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভুল ছবি ছড়ানো হয়েছে। এভাবে আরও অনেক কিছুই প্রকাশিত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
[আরও পড়ুন: মমতার পথেই মোদি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে মানুষের ঘরে পৌঁছনোর বার্তা মন্ত্রীদের]
তাঁর এহেন দাবির পর কার্যত ফুঁসে ওঠেন অজিত মাইতি (Ajit Maity)। তিনি বলেন, ”অভিষেকের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, তার অডিও ফাঁস করে দিলেই সব বোঝা যাবে। তৃণমূলে যোগদানের জন্য মরিয়া ছিলেন হিরণ। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ পর্যন্তও পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি বিজেপিতে মানিয়ে নিতে পারছেন না। কিন্তু অভিষেক তাঁর আবেদন স্পষ্ট খারিজ করে দিয়েছেন।” অজিত মাইতির দাবি, তারপরই সুযোগ বুঝে হিরণ সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলকে নিয়ে বিষোদগার করেছেন।
[আরও পড়ুন: বইমেলা উপলক্ষে বাস বাড়াতে হবে, উদ্বোধনী মঞ্চে মন্ত্রীকে নির্দেশ মমতার]
এরপর রবিবার সন্ধের দিকে দাসপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে অজিত মাইতির এই মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”উনি চাইলে অডিও ফাঁস করুন না। সবাই সব জানবে।” এদিন হিরণের আরও অভিযোগ, বিজেপির বিধায়ক হওয়ার পরপরই তাঁর কাছে আর সিনেমার অফার নেই। টলিউডের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রযোজকরা তাঁকে কাজে নিতে চান না। হিরণের এই অভিযোগের পালটা দিয়ে অজিত মাইতির কটাক্ষ, ”উনি কাজ পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন, তাই কাজ পান না। মিঠুন চক্রবর্তী তো তৃণমূল করেন না। উনি তো সিনেমায় দিব্যি কাজ করছেন।”