সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। কয়েকদিন আগেই গিয়েছে পয়লা বৈশাখ। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া(Akshaya Tritiya)। শুক্লপক্ষের এই তৃতীয় তিথি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন।পুরাণ থেকে জানা যায়, এদিন কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে প্রচুর ঐশ্বর্য দান করেন। এই তিথিতে কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। তাই শুভ দিন হিসেবে পালিত হয় দিনটি।
অক্ষয় তৃতীয়া সম্পর্কে জানা থাকলেও অনেকেই এই দিনটি সম্পর্কে জানেন না। কেন পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া? পরশুরামের জন্ম হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে। এদিন গঙ্গা(Ganga) দেবী এসেছিলেন মর্ত্যে।এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। সবথেকে মজার ব্যাপার হল যে বেদের কালে কুবেরকে সুবিধের লোক হিসেবে ভাবা হত না। অথর্ব বেদ-এ তাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘অপদেবতা’-দের প্রধান এবং শতপথ ব্রাহ্মণ ‘তস্কর’হিসেবে। অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক পৌরাণিক ইতিহাস।
[আরও পড়ুন: ফের মা হলেন পরীমণি! লক্ষ্মীবারে ঘরে এল ফুটফুটে সন্তান]
রামায়ণ ও পুরাণ মত থেকে জানা যায়, প্রজাপতি ব্রহ্মার কৃপায় কুবের একসময় লঙ্কার অধিপতি ছিলেন। কিন্তু পরে রাবণ তাঁকে বহিষ্কার করে লঙ্কা দখল করেন। তখন কুবের দেবতার তপস্যায় বসেন। তাঁর তপস্যায় মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে ধন-সম্পত্তি দান করেন। তাই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গণেশ(Ganesh) এবং লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে কুবেরের পূজা করলেও ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধ দেবতত্ত্ব অনুসারে কুবেরের নাম ‘বৈশ্রবণ’।