অর্ণব আইচ: মদেও ভেজাল! ভাগাড় কাণ্ডের পর এবার ভেজাল মদের অভিযোগে আবগারি দপ্তরের হাতে গ্রেপ্তার হলেন শহরের একটি নামী হোটেলের দু’জন ম্যানেজার৷ ওই দু’জনকে জেরা করে কীভাবে ভেজাল বিদেশি মদ কলকাতায় আসত, এর পিছনে কতজনের চক্র রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা৷
রাজ্য আবগারি দপ্তরের এক কর্তা জানান, কলকাতার এক নামী হোটেলের দুই ম্যানেজার সৈকত মাইতি ও ক্ষুদিরাম ভৌমিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ আবগারি দপ্তরের দাবি, ওই হোটেলের একটি পানশালা থেকেই উদ্ধার হয় প্রচুর সংখ্যক বিদেশি মদের বোতল। বিভিন্ন দেশ থেকে এই শুল্কবিহীন মদ লোক মারফত নিয়ে আসত কলকাতার একটি চক্র। ওই হোটেলের কয়েকজন কর্তা সেগুলি সংগ্রহ করতেন। যে মদ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা যায় মাত্র, সেগুলি হোটেল কর্তৃপক্ষ চড়া দামে বিক্রি করত পেগ হিসাবে। বিশেষ করে কর্পোরেট পার্টিগুলিতে বেআইনিভাবে বিক্রি করা হত এই মদ৷
[বিমানবন্দরে পটল চিরে মিলল ৪৭ লক্ষের বিদেশি নোট, থ শুল্ক কর্তারা]
আবগারি গোয়েন্দাদের অভিযোগ, বিদেশি স্কচ বা অন্যান্য বিদেশি মদের সঙ্গে দেশি হুইস্কি মিশিয়ে পরিবেশন করা হত। নামী হোটেল বলে খদ্দেররা ধরতেও পারতেন না এই ভেজাল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রথমে আবগারি গোয়েন্দারা হোটেলের এক ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেন। ধৃতকে জেরা করেই বাকি দু’জনের সন্ধান পান। দুই ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা৷
[রোমিওদের রুখতে শহরে নামছে প্রমীলা পুলিশের বিশেষ বাইক বাহিনী]
এর আগেও খাদ্যে ভেজাল রুখতে রেস্তরাঁ, পাব ও হোটেলগুলিতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালায় কলকাতা পুরসভা৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভেজাল রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়৷ পুরসভার বিজ্ঞপ্তি ও অভিযানের পরও কীভাবে লাগাতার ভেজাল কারবার চালিয়ে গেল ওই শহরের দুই নামি হোটেল সংস্থা? উঠছে প্রশ্ন৷
The post মদেও ভেজাল! গোয়েন্দা ব়্যাডারে অসাধু চক্রের সন্ধান appeared first on Sangbad Pratidin.