নিরুফা খাতুন: পৌষের শুরুতে বৃষ্টি-কাঁটা আটকে দিয়েছিল শীতের দাপুটে ইনিংস। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর কখনও হালকা, কখনও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলা। উত্তরবঙ্গের দুই জেলাতেও এদিন রাত পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় মাঝারি বৃষ্টি। তবে সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস, রবিবার থেকে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। পারদ পতনও হবে অন্তত ২ থেকে ৩ ডিগ্রি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, রবিবার দার্জিলিং ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টি নেই। পাহাড়ে হালকা তুষারপাত হতে পারে। আরও সুখবর এই যে এদিন থেকেই ক্রিসমাস ও ইংরাজি নববর্ষ উদযাপনের আদর্শ পরিবেশ রাজ্যে। আবহাওয়া শুষ্ক। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি পারদ পতন হতে পারে। তবে ৭২ ঘণ্টা পর থেকে ফের সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা। জাঁকিয়ে না হলেও হালকা শীতের আমেজে কাটবে বড়দিন। বড়দিন এবং বর্ষ শেষের রাতে কলকাতার পারদ ১৬ থেকে ১৫ এর মধ্যে থাকতে চলেছে। দক্ষিণের সব জেলায় কাল ভোরে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। উত্তরে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বাদে বাকি সব জেলায় কাল ভোরে ঘন কুয়াশা। কাল উত্তরবঙ্গে খুব ভোরে দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ২০০ মিটারের নিচে নামবে।
একটি নিম্নচাপ রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে কিছুটা দূরে। গত ৬ ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়েছে। অভিমুখ বিশাখাপত্তনম। রবিবার বিকেল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। অন্ধ্র, তামিলনাড়ু উপকূলে নিষেধাজ্ঞা। গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রামে, প্রায় ৮ মিলিমিটার। কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ মিলিমিটার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮ মিলিমিটার।