শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর কয়েকঘণ্টা পেরিয়েছে। তবে এখনও কার্যত শোকস্তব্ধ ধূপগুড়ি। বুধবার সকালে দুর্ঘটনায় জখমদের সঙ্গে দেখা করলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন ধূপগুড়ি দুর্ঘটনায় জখম বাপ্পা। ডাম্পারের নিচে চাপা পড়া একটি গাড়ির চালক তিনি।
মঙ্গলবার রাতে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে ধূপগুড়ির জলঢাকা সেতুর কাছে ময়নাতলি এলাকায়। পিছন থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি ডাম্পারটিতে ধাক্কা মারে। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘ওভারলোডেড’ ডাম্পারটি উলটে যায়। নিচে চাপা পড়ে দু’টি ছোট গাড়ি। খবর পেয়েই উদ্ধারকার্যে নামে পুলিশ, দমকলবাহিনী। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশ জানায় দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পাশাপাশি ওই গাড়ির নিচে এখনও কেউ আটকে রয়েছেন কি না তাও দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কমিশন আসার আগে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সংখ্যা দেখে চিন্তায় প্রশাসনিক কর্তারা]
দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন বাপ্পা। গুরুতর জখম অবস্থায় বাপ্পা-সহ আহত প্রায় ১১ জন ভরতি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। বাকিরা ভরতি ধূপগুড়ি হাসপাতালে। বাপ্পা বলেন, “দ্রুত গতিতে এসে ট্রাকটা ধাক্কা দিল, তারপর উলটে গেল। ২ ঘণ্টা ওভাবে আটকে ছিলাম। বেঁচে ফিরত ভাবিনি।” বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Superspeciality Hospital) গিয়ে আহদের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। খোঁজ নেন তাঁদের শরীরের। ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনা প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায় বলেন, “দুর্ঘটনার কথা আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এর সঙ্গে কথা হয়েছে।” ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি টুনইটে সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।