শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্তে নেমেছিলেন বিডিও (BDO)। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হতেই সাসপেন্ড করা হল এক সরকারি কর্মীকে। কাজে যোগদান করার পরই বিডিও’র এহেন পদক্ষেপে খুশি সামশেরগঞ্জবাসী।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফ্যাসিলেটর হিসাবে কাজ করতেন সুজনকুমার দাস নামে ওই সরকারি কর্মী। বাংলা আবাস যোজনা থেকে শুরু করে রূপশ্রী-সহ আরও নানা প্রকল্পের তথ্য যাচাইয়ের কাজ করতেন তিনি। অভিযোগ, সেই সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে উপভোক্তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন সুজন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তে নামেন সামশেরগঞ্জের নবনিযুক্ত বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা। তিনিই সরাসরি গ্রাহকদের কাছে কথা শোনেন। তারপরই সুজনবাবুকে সাসপেন্ড করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে বহিষ্কার তৃণমূলের]
এবিষয়ে বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা বলেন,”বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতি ও টাকা নেওয়ার খবর মিলতেই আমরা তদন্ত শুরু করি। আমি নিজেই তদন্তে যাই। এক ফ্যাসিলেটরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনও ধরনের দুর্নীতি আমরা বরদাস্ত করব না।” যদিও ওই ফ্যাসিলেটর সুজনকুমার দাসের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর কথায়, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের নাম করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা টাকা নিলেও পরিকল্পনা করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”