সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ১০ কোটি বছর। বলা যায় একেবারে জীবন্ত জীবাশ্ম! আর সেই জীবন্ত জীবাশ্মই এবার বঁড়শিতে ধরলেন এক ব্যক্তি। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও কানসাসে (Kansas) অ্যালিগেটর গার নামে ওই মাছটি ধরেছেন তিনি।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন মৎস্যশিকারি ড্যানি লি স্মিথ বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে তাঁর বঁড়শিতে উঠে আসে বড়সড় এক মাছ। ডাঙায় তোলার পর দেখা যায়, সেটি ‘অ্যালিগেটর গার’ প্রজাতির মাছ। জানা গিয়েছে, কানসাস নদীতে এ প্রজাতির মাছ আগে পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এল ‘মৃত্যুদূত’, লায়নফিশ ছুঁলেই মুহূর্তে সাঙ্গ ভবলীলা]
অ্যালিগেটর গার প্রজাতির মাছকে ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ বলা হয়। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে, যেগুলি সুদূর অতীতে জন্ম নিয়ে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই এখনও টিকে রয়েছে। কিন্তু এর সমসাময়িক প্রাণীরা ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন প্রাণীকেই সাধারণত জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়। ইতিমধ্যেই অ্যালিগেটর গারের যেসব ফসিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিও প্রায় ১০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
কানসাসের ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কের সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্যানি লি যে অ্যালিগেটর গার মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ, ওজন প্রায় ১৮ কেজি। কানসাসের জলাধারে অনেক ধরনের গার রয়েছে বলে জানান ড্যানি লি। তবে তিনি জানান, কানসাসের নদীতে এ মাছ পাওয়া গেল এই প্রথম। নিজের এই বিরল অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ড্যানি জানান, “জল থেকে মাছটি তোলার পর আমি অবাক হয়ে যাই! গার প্রজাতির মাছ সাধারণত জালে কিংবা বঁড়শিতে আটকালে খুব লম্ফঝম্ফ দেয়। কিন্তু এটির আচরণ ছিল একেবারেই শান্ত। এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।”