shono
Advertisement

কাস্পিয়ান সাগরের উপকূলে উদ্ধার বিপন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০০টি সিলের মৃতদেহ, তদন্তে রাশিয়া

সামুদ্রিক দূষণ কিংবা জটিল অসুখেই মৃত্যু, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Posted: 04:49 PM Dec 12, 2020Updated: 04:49 PM Dec 12, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য এবং অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ। এই দুইয়ের দৌলতে বিশ্বে বহু প্রাণীর অস্তিত্ব এখন সংকটে। আর বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হল সিল (Seal)। ঠাণ্ডার দেশের এই প্রাণীটির সংখ্যা বিশ্বে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। এবার রাশিয়া (Russia) উপকূলে ভেসে উঠল এরকমই বিপন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০০টি সিলের মৃতদেহ। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে রাশিয়া সরকার। কী কারণে এতগুলো সিল মারা গেল?‌ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন।

Advertisement

রাশিয়ার পাশে অবস্থিত কাস্পিয়ান সাগরই (Caspian Sea) এই সিলদের চারণভূমি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে কাস্পিয়ান সাগরের নিকটবর্তী উপকূলগুলোতেই ভেসে আসছে একের পর এক সিলের মৃতদেহ। মূলত ডাজেস্টান প্রদেশের দক্ষিণ উপকূলেই অধিকাংশ মৃতদেহগুলো দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসতেই মস্কোকে (Moscow) সে ব্যাপারে জানানো হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্তের জন্য সেখানে আসে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৭২টি কাস্পিয়ান সিলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এগুলির মধ্যে অনেক সিলই ছিল সন্তানসম্ভবা। এখানেই শেষ নয়, আরও সিলের মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

[‌আরও পড়ুন:‌ ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ট্রাম্পের! অদ্ভুত দাবি ইজরায়েলের গবেষকের]

কিন্তু কীভাবে এতগুলো সিল মারা গেল?‌ সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা সমুদ্রের দূষণ কিংবা কোনও জটিল অসুখেই বিপন্ন এই প্রজাতির এতগুলো প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য পুরোটাই প্রাথমিক ধারণা। প্রসঙ্গত, চোরাশিকারীদের দৌরাত্ম্য তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে অবশ্যই যোগ করতে হবে কাস্পিয়ান সাগরের দূষণের পরিমাণও। যে কারণে এই এলাকায় সামুদ্রিক প্রাণীদের অস্তিত্ব সত্যিই বিপন্ন। বারেবারেই সেকথা জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। রাশিয়া ছাড়াও কাস্পিয়ান সাগরের চারিদিকে রয়েছে কাজাখস্তান, আজারবাইজান, ইরান এবং তুর্কমেনিস্তান। আর প্রতিটি দেশই কাস্পিয়ান সাগরের দূষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী। এমনকী রাষ্ট্রসংঘের তরফেও কাস্পিয়ান সাগরের দূষণ নিয়ে একাধিকবার সাবধান করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে সামুদ্রিক দূষণ।

[‌আরও পড়ুন:‌ মিলল গবেষণায় স্বীকৃতি, কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রই এখন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement