সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দাপট দেখাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথে লালফৌজের সামরিকীকরণে শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। তাই সাগরে ‘লাল আতঙ্ক’ কাটাতে এবার বাংলাদেশকে পাশে চাইছে আমেরিকা।
জানা গিয়েছে, আগামী বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ওই বৈঠকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ কীভাবে অবদান রাখবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি, ‘জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট’ ও ‘দ্য অ্যাকুইজেশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট’ অর্থাৎ দুই দেশের সেনার মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নয়’, ভারতের ঘোষণার পরই সাফাই চিনের]
জানা গিয়েছে, ঢাকা-ওয়াশিংটন প্রতিরক্ষা সংলাপের দশম অধ্যায়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) অপারেশন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসিহুর রহমান। আমেরিকার তরফে থাকছেন মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতিবিষয়ক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টমাস জে জেমস।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন-আমেরিকার দ্বন্দ্ব নতুন নয়। দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। ফলে ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটছে বেজিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: নজরে ‘ভোটসন্ত্রাস’ ও ‘মানবাধিকার’, মার্কিন সাঁড়াশি চাপে বাংলাদেশ]
বিশ্লেষকদের মতে, চিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে পাশে চাইছে আমেরিকা। তবে, মার্কিন ফাঁদে পা দিতে নারাজ হাসিনা প্রশাসন। বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক ভাই। বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগ করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তাই ভোটসন্ত্রাস থেকে শুরু করে মানবাধিকার প্রসঙ্গে ঢাকার উপর চাপ তৈরি করে আসলে দরদামে পাল্লা ভারী করতে চাইছে ওয়াশিংটন।