সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি তাঁদের নয়া বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘নাইকি’৷ যেখানে দেখা গিয়েছে আমেরিকান ন্যাশনাল ফুটবল লিগের খেলোয়াড় কলিন কেপারনিককে৷ আর এই বিজ্ঞাপনই গোটা মার্কিন মুলুকে তৈরি করেছে নয়া বিতর্ক৷ নাইকির প্রতিবাদে এই সংস্থার ক্রীড়া সরঞ্জাম আগুনে পোড়াতে শুরু করেছেন মার্কিন নাগরিকরা৷ সেই ছবি তাঁরা আপলোড করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে শুরু করেছে নাইকি বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রতিবাদের হ্যাশট্যাগ৷ বিজ্ঞাপনটির নিন্দা করে মুখ খুলেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
[নেহেরুর দাঁতের ডাক্তারের ছেলে বসলেন পাক রাষ্ট্রপতির আসনে]
এখন প্রশ্ন হল এই প্রতিবাদের কারণ কী? তা জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে অতীতে৷ ২০১৬-তে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের একটি ম্যাচের আগে অভিনব পদ্ধতিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কলিন কেপারনিক৷ তিনিই বর্তমানে প্রোট্যাগনিস্টের ভূমিকায় রয়েছেন নাইকির বিজ্ঞাপনটিতে৷ জানা গিয়েছে, সান ফ্রান্সিসকোতে হওয়া ওই ফুটবল ম্যাচে আমেরিকান জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় এক হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ করতে শোনা যায় তাঁকে৷ এই প্রতিবাদেই ওই কীর্তি করেন বলে নিজেই জানিয়েছেন কেপারনিক৷ এরপরই তাঁর উপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া৷ জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করার পালটা অভিযোগে দল থেকে কেপারনিককে বাদ দেওয়া হয়৷ এমনকি এই ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত অন্যকোনও দল তাঁকে নেয়নি৷
[মৃত ‘হাক্কানি নেটওয়ার্ক’-এর প্রতিষ্ঠাতা, স্বস্তির স্বাস ফেলল আমেরিকা]
মঙ্গলবার নাইকির “Just Do It” স্লোগানের ত্রিশ বছর উপলক্ষে প্রকাশ্যে আনা হয় এই বিজ্ঞাপনটি৷ যেখানে কেপারনিককে বলতে শোনা যায়, “Believe in something. Even if it means sacrificing everything.” এরপরেই ক্ষোভ ছড়ায় গোটা আমেরিকায়৷ জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছে এমন একজনকে বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ায় নাইকির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায় মার্কিন নাগরিকদের৷ নিজেদের কাছে থাকা নাইকির প্রোডাক্ট পুড়িয়ে ক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নাইকি দেশবিরোধী কাজে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷