shono
Advertisement

বড়ো শান্তিচুক্তির ফসল, অসম বিধানসভার আগে BTC নির্বাচনে বড় সাফল্য বিজেপির

বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর জোট।
Posted: 11:22 AM Dec 13, 2020Updated: 12:28 PM Dec 13, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন অসমে। তার আগে সেমি ফাইনাল ছিল বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (BTC) নির্বাচন। তাতে তাৎপর্যপূর্ণ ফল করল বিজেপি। তবে ৪০ আসনের কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা (২১ আসন) অর্জনে ব্যর্থ সব দলই।

Advertisement

বড়োল্যান্ড চুক্তি স্বাক্ষর ও অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর প্রথম নির্বাচন ছিল এটি। ফলে সকলেরই নজর ছিল এই নির্বাচনের দিক। কাউন্সিলের ৪৬টি আসনের মধ্যে ৪০ আসনে ভোট হয়। সবচেয়ে বড় দল হয়েছে অসম বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (BPF)। তাদের দখলে ১৭টি আসন। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে চারটি আসন দূরেই থেমে গিয়েছে তাদের দৌড়। উপরন্তু ২০১৫ সালের তুলনায় তিনটি কম। প্রমোদ বড়োর ইউনাইডেট পিপলস পার্টি লিবারেল পেয়েছে ১২টি আসন। বিজেপি (BJP) ৯টি ও কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনে বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভোটে লড়েছিল বিজেপি। সেই সময় তাঁদের ঝুলিতে এসেছিল একটি আসন।

[আরও পড়ুন : ভুয়ো টিআরপি মামলায় এবার রিপাবলিক টিভির CEO-কে গ্রেপ্তার করল মুম্বই পুলিশ]

এই নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর জোট। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের জোট বাঁধার আশা কার্যত বিশবাঁও জলে। আবার একা লড়ে তাৎপর্যপূর্ণ ফল করেছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, ইউনাইডেট পিপলস পার্টি লিবারেল সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখছে। জোট বেঁধে কাউন্সিলের ক্ষমতা দখল করার তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্য একটি সূত্রে খবর, পুরনো জোটের সঙ্গে মন কষাকষি মিটিয়ে ফেলতে পারে তাঁরা। যদি এই ফলাফলের তাৎপর্য অন্যত্র।

চলতি বছরের শুরুতেই বড়ো সংগঠন এনডিএফবি এবং অল বড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করে কেন্দ্র ও অসম সরকার। অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসেছে উগ্রপন্থী সংগঠন ‘ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড’ বা NDFB। আবার ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত হওয়ায় নাগরিকত্ব আইনের আওতায় আসেনি BTR। অ-বড়ো সম্প্রদায়ের বহু মানুষের বসবাস এই এলাকায়। যারা বড়োদের একাধিপত্যে কার্যত বিরক্ত। ফলে সিএএ ও শান্তিচুক্তির পর এই নির্বাচন কার্যত লিটমাস টেস্ট ছিল বিজেপির কাছে। দলীয় সূত্রে খবর, পাশমার্ক নিয়েই সেই পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে বিজেপি। যা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তি দেবে গেরুয়া শিবিরকে।

[আরও পড়ুন : কাফিল খানের মুক্তির রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল যোগী সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement