সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ইথিওপিয়া (Ethiopia)’য়। এর ফলে এখনও পর্যন্ত অসংখ্য সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী সুদানে পালিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (Amnesty International) -এর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (Tigray People’s Liberation Front) -এর সদস্যদের জোর লড়াই শুরু হয়েছে। উভয়পক্ষের এই সংঘর্ষের ফলে এখনও পর্যন্ত কয়েক’শো সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ নভেম্বর এক সঙ্গে শতাধিক মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঘটনার জন্য টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে দায়ী করলেও তারা উলটে এর পিছনে ইথিওপিয়ার সেনার হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে।
[আরও পড়ুন: লিবিয়ার খোমস উপকূলে ভয়াবহ নৌকাডুবি, মৃত কমপক্ষে ৭৪ জন শরণার্থী]
এদিকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ সম্পর্কে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ (Abiy Ahmed) টুইট করেন, টাইগ্রে প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা ও মুখোমুখি চালিয়ে স্থানীয় বিদ্রোহীদের পরাজিত করেছে ইথিওপিয়ার সেনা ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। এর ফলে ওই এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইথিওপিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ চলছে। গত কয়েক বছর ধরে সেই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এর ফলে ২০১৯ সালে পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শান্তিতে নোবল পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। কিন্তু, বর্তমানে ইথিওপিয়ার অবস্থা তাঁর নোবেল প্রাপ্তির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।