সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৬ দিনে ছ’কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাও আবার সম্পূর্ণ নগদে। ইডির হাতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে বলে দাবি সূত্রের। কোথা থেকে এল বিপুল নগদ? সামান্য রাজনৈতিক কর্মী হয়ে কীভাবে এত টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি? এ প্রশ্নগুলি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলেই খবর ইডি সূত্রে। কেষ্ট মণ্ডল দাবি করেন, অনেক দিনের পুরনো ঘটনা। তাই তিনি মনে করতে পারছেন না। তবে হাল ছাড়তে নারাজ ইডির দুঁদে তদন্তকারী আধিকারিকরাও।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে ১০-১৭ নভেম্বর মধ্যে প্রচুর জমি কেনেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল অধিকাংশ জমি। ভোলেব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখেই কেনাবেচা হয়েছিল এই জমি। বাজারমূল্যের চেয়ে ডিডে জমির দাম অনেক কম দেখানো হয় বলে খবর। ৬ কোটি নগদ টাকায় কেনা হয়েছিল সমস্ত জমি। জমির মালিকানা ছিল অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। তবে খোদ অনুব্রতর নামেও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতির এত সম্পত্তি কীভাবে? গরু পাচারের টাকাতেই কী এত রমরমা অনুব্রতর? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া ইডি।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের খাতিরেই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল, দাবি পার্লার মালকিন সোমার]
সূত্রের খবর, প্রথম দিনের জেরাতেই ব্রেক থ্রু পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সায়গল-এনামুল-সুকন্যার বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্নপত্র সাজিয়েছেন প্রশ্নকর্তারা। এমনকী, সায়গল-সুকন্যার বয়ান শোনার পরই নাকি জেরা চলাকালীন কান্নায় ভেঙে পড়েন কেষ্ট। দাবি করেন, “আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমার কোনও দোষ নেই।” তবে কেষ্ট মণ্ডলের জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইডি বলেই দাবি প্রবর্তন ভবন সূত্রের। তাঁরা তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনছেন অনুব্রত ‘কেষ্ট’ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।