ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও নন্দন দত্ত: আর বীরভূমের (Birbhum) জেলা সভাপতি নন অনুব্রত মণ্ডল। এবার থেকে ‘সরকারিভাবে’ বীরভূম জেলার সংগঠন দেখবে ৯ সদস্যের কোর কমিটি। তাহলে কি গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘাসফুল শিবির? জেলাজুড়ে এখন সেই প্রশ্ন।
এদিকে জেলার তৃণমূল (TMC) চেয়ারপার্সন পদে রইলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরই দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, “এই সুযোগ দেওয়ার জন্য দলকে ধন্যবাদ।” তবে জেলা সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। কোর কমিটির কোনও সদস্যের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: আলোর উৎসবে অন্ধকারে হুগলির হিন্দুস্তান মোটরস! জল-বিদ্যুৎ ছাড়াই দিন কাটছে কর্মীদের পরিবারের]
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে অনুব্রতর জেল থেকে বেরনোর আশা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ সঠিক হলে বীরভূমে এবার লোকসভা ভোটে অনুব্রতকে ছাড়াই লড়বে ঘাসফুল শিবির। চব্বিশের যুদ্ধের কয়েক মাসে আগেই জেলার সভাপতি ও চেয়ারপার্সন পদে বিরাট রদবদল ঘটাল শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলার নতুন পদাধিকারীদের নামের তালিকা সামনে আসতেই দেখা যায়, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে নাম নেই অনুব্রতর। বদলে লেখা হয়েছে কোর কমিটির নাম। যা গত ১২ বছরে প্রথমবার।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তারির পরও কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আপাতত বীরভূম তিনি নিজে দেখবেন। মাঝেমধ্যে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠাবেন। তবে সভাপতি পদ থেকে অনুব্রতকে সরানোর কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি। অবশ্য ৯ সদস্যের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন যারা জেলা সংগঠনের দেখভাল করছিল। এবারের প্রকাশিত জেলার পদাধিকারীদের নামের তালিকায় দেখা মিলল না অনুব্রতর নাম।
[আরও পড়ুন: Mahua Moitra: এথিক্স বাণেও মহুয়াতে আস্থা তৃণমূলের! কৃষ্ণনগরের দায়িত্বে সাংসদ]
তৃণমূলের এদিনের পদক্ষেপের পর থেকে বীরভূমের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি দল থেকে ‘দাপুটে’ কেষ্টকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? বীরভূমে শুরু হল অনুব্রতহীন জমানা? সেই প্রশ্নে এখন দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল কর্মীরা।