স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মোট তিনটি খণ্ডে ২০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয় এদিন। তাতে গোটা দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে সায়গল হোসেন ও এনামুল হককে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের গরু পাচারে প্রত্যক্ষ মদত করা।
ওই চার্জশিটেই সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal) এবং অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করেছে ইডি। চার্জশিট অনুযায়ী, সুকন্যা ইডিকে জানিয়েছেন, গরু পাচারের বিন্দুবিসর্গ কিছুই তিনি জানতেন না। ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেন, “চেকবইয়ে সই করতে বলতেন বাবা। সই করে দিতাম। বাবাই সব জানে।” সুকন্যার এই বয়ানকেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছে ইডি।
[আরও পড়ুন: একমাসের মধ্যে ফের এনকাউন্টার উত্তরপ্রদেশে, মৃত কুখ্যাত গ্যাংস্টার অনিল দুজানা]
অভিযোগ গরু পাচারের টাকায় দু’টি রাইস মিল, বোলপুর ও কলকাতায় প্রচুর জমি এবং সম্পত্তি কেনা, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন তৃণমূল নেতা। ইডির দাবি, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার চক্রের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এনামুল হক। তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখতেন সায়গল হোসেন। নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচারের সেফ করিডর তৈরি করে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)।
[আরও পড়ুন: শুক্রবার বুদ্ধপূর্ণিমাতেই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে ভারত থেকেও]
চার্জশিটে ব্যক্তি ও সংস্থা মিলিয়ে মোট অভিযুক্ত ২৩ জন। প্রত্যেকের ভূমিকা কী ছিল তার উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে উল্লিখিত, অনুব্রতর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি টাকার বেশি। এছাড়াও তাঁর ১১ কোটি ২৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একইভাবে মণীশ কোঠারির ২৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে আরও ৩২ কোটি টাকার সম্পত্তির। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানির কথা জানিয়ে ততদিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ।