সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জামিনের আবেদনের শুনানি। পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। অর্থাৎ আরও প্রায় ৪ মাস জেলেই থাকতে হবে বীরভূমের কেষ্টকে।
বিচারপতি দীনেশ শর্মা অনুপস্থিত থাকায় গত সপ্তাহে দিল্লি হাই কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার শুনানি। ২৯ মার্চ অর্থাৎ আজ সেই মামলার শুনানি হল।তবে আরও ৪ মাস পিছিয়ে গেল জামিনের আবেদনের শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ জুলাই। ততদিনই জেলেই থাকতে হবে কেষ্টকে। এদিকে ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের নতুন রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রিপোর্টের কপি পাঠাতে হবে অনুব্রতর আইনজীবীকে। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রতকে ভারচুয়ালি আদালতে পেশের আরজি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ শর্মা।
[আরও পড়ুন: পাঁচমাসে সর্বোচ্চ দেশের করোনা সংক্রমণ, একদিনে মারণ ভাইরাসের বলি ৭]
গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।
এরপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় ইডি। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই পালটা হিসাবে দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান অনুব্রত মণ্ডল। যদিও দিল্লি যাত্রা রোখা যায়নি। দিল্লিতে ইডি হেফাজত শেষে আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার।