সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নেওয়ার পর উদ্বেগের কারণেই সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হওয়ার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন কমিটির (AEFI Committee) একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভ্যাকসিন পরবর্তী সাইড এফেক্টের উপর নজর রেখে দেখা গিয়েছে, ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ উদ্বেগে ভুগছেন।
সরকারের এই কমিটির মতে, ৮৮ জনের উপর সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৬১ জনের সাধারণ কিছু সমস্যা হয়। ৩৭ জনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের উপকরণ শরীরে ঠিক সহ্য না হওয়ায় কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ২২ জন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভ্যাকসিন থেকে শরীরে কী হবে, এই নিয়ে টেনশনে ভুগেছেন। যার থেকে অনিদ্রা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ছোটদের চোখে ছানির সমস্যা বাড়ছে, কেন অসময়ে এই জটিলতা? জানালেন চিকিৎসকরা]
ইঞ্জেকশনের সুচে ভীতির কারণে পুরুষের চেয়ে মহিলারা নাকি ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় ও পরে বেশি উদ্বেগে ভোগেন। যাঁদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১৬ জন কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে টেনশনে ভুগেছিলেন। বাকিরা কোভ্যাক্সিন (covaxin) নিয়েছিলেন। মূলচাঁদ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. জিতেন্দর নাগপাল বলেন, “করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সাইড এফেক্টের তালিকায় উদ্বেগকে কারণ হিসাবে দেখানো ঠিক নয়। অন্য কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও টিকাপ্রাপকরা উদ্বেগে ভোগেন। কিন্তু ন্যাশনাল AIFI কমিটির মতো সেগুলি কেউ নজরে আনেনি।”
ডা. নাগপালের কথায়, “যেহেতু কোভিড-১৯ (COVID-19) ভ্যাকসিন নতুন এসেছে এবং এর সাইড এফেক্ট কেমন তা কারও জানা নেই, তাই উদ্বেগে ভোগা মানুষের সংখ্যা এত বেশি দেখা গিয়েছে। ভ্যাকসিনের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া বা তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার বিষয়টি স্বাভাবিক বলেই মনে করি। তারপর এই ভ্যাকসিন নিয়ে নানারকম গুজব ছড়িয়েছে, তাই সাধারণ মানুষ বেশি ভয় পেয়েছে।”