সুপর্ণা মজুমদার: যাদবপুর, ছাত্রমৃত্যু, র্যাগিং — খবরে চোখ রাখলেই এই শব্দগুলো দেখা যাচ্ছে। আলোচনা-পর্যালোচনা-সমালোচনা সবই হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়েছেন অরিত্র দত্তবণিক (Aritra Dutta Banik)। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং নিয়ে বেশ কড়া বার্তা দিলেন তিনি। “দিব্যাঙ্গ ছাত্রকে পর্যন্ত র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে”, এমনটাই জানালেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে গিয়েছেন অরিত্র। কনভোকেশন এখনও বাকি। ছাত্রমৃত্যুর পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তাতে আবার অনেকেই কুমন্তব্য করেছে। এতে দমে যাননি অরিত্র। সংবাদ প্রতিদিনের মুখোমুখি হয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন তিনি। অরিত্র জানান, র্যাগিং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নয়। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারার কোনও অজুহাতই হয় না। পাশ করার বহু বছরও সিনিয়ররা হস্টেলকে আস্তানা করে রাখে। র্যাগিং করাটাকে অধিকার মনে করেন। প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই তাঁরা এমনটা করেন বলেই মত প্রকাশ করেছেন তিনি। কীসের প্রতিশোধ? যাঁদের উপর র্যাগিং হয়েছে, তাঁরাই আবার পরবর্তীকালে র্যাগিং করতে থাকেন বলে জানান অরিত্র।
[আরও পড়ুন: র্যাগিং বন্ধে কড়া আইন আনা উচিত, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নিন্দায় সরব সৌরভ]
যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে কথা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই অরিত্র বলেন, “যাদেরকে ধরা হচ্ছে এরা কিন্তু ফেস। রাঘব বোয়ালরা কিন্তু ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেউকেটা। যাঁদের ছাত্র হিসেবে দেখছি এঁরা কিন্তু মুখমাত্র। এরা কিন্তু পচা গাছের পচা শিকড়টা নয়। পচা পাতা হতে পারে! ওই গাছটা যেটা পচে গিয়েছে ও কিন্তু আবার কিছুদিন বাদে একটা পচা পাতা দেবে। টব-সহ গাছটা ফেলতে গেলে পুলিশকে কড়া হতে হবে। বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে হবে।”
পুলিশ চাইলে পারে না এমন কিছু নেই এমনটাই মনে করেন অরিত্র। রাজনৈতিক লড়াইয়ের উর্ধ্বে উঠে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেন তিনি। অরিত্রর অভিযোগ, শিক্ষকরাও পড়ুয়াদের বৈষম্য করেন। বাংলা মিডিয়াম-ইংরাজি মিডিয়াম, গ্রাম-শহরের ভিত্তিতে এই বৈষম্য হয়। সিনেমা, রিয়ালিটি শোয়ে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অরিত্র। তা নিয়েও শিক্ষকের কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে বলে জানান।