সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত মায়ানমার (Myanmar)। গণতন্ত্রকামীদের পিষে দিল সেনার গাড়ি। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত পাঁচজনের। গুরুতর আহত অনেকেই। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে আরও চাপ বেড়েছে সামরিক জুন্টার উপর।
[আরও পড়ুন: সাতাত্তরের বৃদ্ধের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ২০ বছরের তরুণী, শীঘ্রই করবেন বিয়েও!]
জানা গিয়েছে, দেশে সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রবিবার ইয়াঙ্গনে জড়ো হয়েছিলেন গণতন্ত্রকামীরা। তখন আচমকা সেই জমায়েতের মধ্যে দিয়ে তির বেগে ছুটে আসে বার্মিজ সেনার একটি গাড়ি। মুহূর্তে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পিষে দেয় যানটি। রাস্তার দু’পাশে ছিটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে পাঁচজনের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘মায়ানমার নাউ’ জানিয়েছে, ইয়াঙ্গন শহরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে দেশের শাসনভার যাদের দখলে সেই জুন্টা প্রশাসন অবশ্য এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে সেনার তরফে দাবি, বিক্ষোভকারীরাই প্রথমে হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। তাদের সামাল দিতে গিয়েই এই পরিস্থিতি।
এদিকে, এই নরীসহিংস ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনওটাতে দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে হঠাৎ জমায়েতের পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটি। কোনওটিতে আবার উঠে এসেছে রাস্তার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাধিক বিক্ষোভকারীর নিথর শরীরের ছবি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা দেশের ক্ষমতা কেড়ে নেয় সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে উপড়ে ফেলে নেত্রী আং সান সু কি-কে বন্দি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চলছে। এ তারপরও গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পাল্লা দিয়ে দমনপীড়ন শুরু করে সর্বশক্তিমান জুন্টা। এপর্যন্ত সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষের।