সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বরং আপের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে জেলে থেকেই সরকার চালাবেন তিনি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরিকে সরাতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court)। মামলায় আবেদনকারী জানতে চেয়েছেন কোন আইনে গ্রেপ্তারের পরও মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা হবে তাঁকে?
দেশের ইতিহাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তা র হয়েছেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ইডি গ্রেপ্তার করলেও গ্রেপ্তারের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে আপের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে গ্রেপ্তার হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেজরিও বার্তা দেন, দেশের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি। জেলের বাইরে হোক বা ভেতরে, দেশের কাজ তিনি করে যাবেন। দেশের ইতিহাসে মুখ্যমন্ত্রী পদের এমন বেনজির অবস্থার মাঝেই হাই কোর্টে মামলাকারীর আবেদন, “দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল এবং দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদেই থাকবেন কেজরিওয়াল। প্রয়োজনে জেলে থেকেই সরকার চালাবেন। কিন্তু এমন একটি পদে থেকে সেটা অনুচিত।” পাশাপাশি নিজের আবেদনে মামলাকারী আরও জানান, “আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এমন একজন ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা কোনওভাবেই উচিত নয়।”
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ, কেজরির পাশে মমতা, কমিশনে ইন্ডিয়া জোট]
এদিকে স্বামীর গ্রেপ্তারি নিয়ে কড়া সুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়েছেন স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আপনাদের দ্বারা নির্বাচিত ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতার ঔদ্ধত্যে গ্রেপ্তার করেছেন মোদিজি। উনি চান সকলকে গুঁড়িয়ে দিতে। দিল্লির মানুষকে বিজেপি বোকা বানাচ্ছে। উনি জেলে থাকুন বাঁ বাইরে ওনার জীবন সর্বদা আপনাদের জন্য সমর্পিত। জনতা জনার্দন সব দেখছে।”
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে দাবি করা হয় আবগারি দুর্নীতি মামলায় কয়েকশো কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। ইডির দাবি অনুযায়ী, এই দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর ষড়যন্ত্রেই ঘটেছিল সবটা। যদিও এই গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়েছে আপের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে দিল্লির জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।