চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: কয়লা পাচার কাণ্ডে আরও বিপাকে লালা (Lala) ও তার সহযোগী। এবার কয়লা পাচারে জড়িত অনুপ মাজি ওরফে লালা ও তার সহযোগী রত্নেশ বর্মার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে সিবিআই আদালতে আবেদন (CBI Court) করা হয়। সেই আবেদন মেনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
গত ২৭ নভেম্বর দেশের ৪৫ এলাকায় বেআইনি কয়লা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তে নেমে অভিযান চালায়। পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার বাড়িতে গিয়েও অনুপ মাজি ওরফে লালার হদিশ পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের তরফে তিনদফা নোটিস জারি করার পরেও সিবিআইয়ের কাছে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেননি বা কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করেননি। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত তার আসার কথা ছিল কিন্তু সেদিনও আসেনি লালা। তারপর থেকেই জানা যাচ্ছিল সিবিআই কড়া অবস্থান নেবে।
[আরও পড়ুন : তৃণমূলের বৈঠকে গরহাজির পুরুলিয়ার চার বিধায়ক, দলের অন্দরে তুমুল জল্পনা]
এরপরেই বৃহস্পতিবার কয়লা মাফিয়া লালা ও তার শাগরেদ বেআইনি কয়লা পরিবহণে যুক্ত রত্নেশ বর্মার বিরুদ্ধে দু’টি আবেদন করা হয়। সেই আবেদন এদিন গৃহীত হয়। জানা গিয়েছে, লালার মুম্বইয়ে ওরলির বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু পরিবার-সহ তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার লালা ওরফে অনুপ মাজির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ৩১৩/৩, বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ে গণেশ বাগাড়িয়া নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন হানা দেয় সিবিআইয়ের একটি দল। পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ফ্ল্যাট ছাড়াও কলকাতায় লালার ঘনিষ্ঠদের আরও পাঁচটি বাড়ি, অফিসে তল্লাশি হয়। এদিকে, গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে লালা ওরফে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাজির নাম।