অর্ণব আইচ: সল্টলেকের (Salt Lake) করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করে শাস্তির পথে হাঁটল কর্তৃপক্ষ। বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের এএসআই সন্দীপ পালকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়েছে। কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আরেক অভিযুক্ত, সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকারকে। রবিবার সকালে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে শুরু হচ্ছে তদন্ত। তবে নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে পুলিশের বিরুদ্ধেই তা ভঙ্গ করার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে সবমহলে।
ঘটনার সূত্রপাত সেই বৃহস্পতিবার। আসানসোলের (Asansol)বাসিন্দা এক তরুণী বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার বাসে চড়ে কলকাতায় (Kolkata) আসেন। সল্টলেক পৌঁছতে রাত ১টা বেজে যায়। অনেকটা রাত হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গন্তব্য পৌঁছনোর কোনও গাড়ি পাচ্ছিলেন না ওই তরুণী। সঙ্গে থাকা দু’টি মোবাইলের মধ্যে একটির চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল। অপরটিতে ইন্টারনেট ছিল না। ফলে অ্যাপ ক্যাবও ডাকতে পাচ্ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মেয়েটি। তাঁর অভিযোগ, সেই সময় দুই যুবক বাইকে চেপে বাসস্ট্যান্ডে আসে। নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে লিফট দেবে বলে জানায়।
[আরও পড়ুন: পুরভোটের আগে কলকাতায় আটক ২০ বাংলাদেশি, মিলল না বৈধ নথি]
তরুণীর অভিযোগ, নিজেদের গাড়িতে তাঁকে তুলে শ্লীলতাহানি করা হয়। বাইকে ওঠার পরই যুবকরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উলটোডাঙা মোড়ে পৌঁছনোর আগে ফোন করে এক বন্ধুকে ডাকেন তিনি। মেয়েটির বন্ধুর এলে তিন যুবকের তীব্র বাদানুবাদ বাঁধে সকলের মধ্যে। অভিযোগ, মেয়েটি ও তার বন্ধুকে হুমকিও দেয় ওই যুবকেরা। এর পর গড়ফায় পৌঁছে কসবা থানায় অভিযোগ জানায় তরুণী ও তাঁর বন্ধু। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতের দিকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘দলের কয়েকজনের অসহযোগিতার জন্য নন্দীগ্রামে জিততে পারেননি মমতা’, ভাইরাল সুব্রত বক্সির অডিও]
খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই এ ধরনের অভব্যতার আচরণের অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ মহল। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। এদের একজন বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর (ASI)। তার নাম সন্দীপ পাল। অপরজন সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকার। প্রথমজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর সিভিক ভলান্টিয়ারকে আপাতত কাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।