সুব্রত বিশ্বাস: স্ত্রী চাইতেন স্বামী অফিসার হোক। স্ত্রীর সেই স্বপ্ন সফল করার জন্য তাই বিধাননগর কমিশনারেটের কনস্টেবল আশিস তরফদারের উৎসাহ ছিল পদোন্নতির (Promotion) দিকে। পদোন্নতিও হয় তাঁর। কিন্তু তার আগেই স্ত্রী মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন আশিসবাবু। প্রোমোশন পেয়ে আরও বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। সহকর্মীরাও জানতেন সে কথা। কিন্তু সেই মানসিক পরিস্থিতি থেকে যে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন আশিস তরফদার, তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ। পদোন্নতি পেয়েও আত্মঘাতী (Suicide) হলেন তিনি।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কনস্টেবল আশিস তরফদার কলকাতা নিউ টাউন (New Town PS) থানায় পোস্টিং হওয়ার পর কাজে যাওয়াই ছেড়ে দেন। বিধ্বস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াতেন। রবিবার রাত একটা নাগাদ তিনি চাকদহ-পায়রাডাঙার মাঝে মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আশিসবাবুর। আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা – তা স্পষ্ট হবে ময়নাতদন্তের পর বলে রেল পুলিশ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মারণ রোগের তথ্য সফটওয়্যারে, ক্যানসার নথিভুক্তিতে চালু রাজ্যের নিজস্ব পোর্টাল]
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, রাত একটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে শিয়ালদহগামী মালগাড়িতে। বিধাননগর কমিশনারেটের (Bidhannagar City Police) কনস্টেবল ছিলেন আশিস তরফদার। পদোন্নতি পেয়ে সম্প্রতি এএসআই হন। কিন্তু এমন সুসংবাদেও বিমর্ষ ভাব কাটেনি তাঁর।
[আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ভারতের, ১৫ জনের দলে রাখা হল না মহম্মদ শামিকে]
পারিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন আশিসবাবু। ন’বছর আগে স্ত্রী মারা যান। সঙ্গীহীন হয়ে পড়ার ধাক্কা তিনি আর সামলাতে পারেননি। তারউপর সাম্প্রতিক পদোন্নতি বারবার স্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল তাঁকে। বারবারই ভাবছিলেন, যে এই পদোন্নতি দেখে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতেন, তিনিই তো আর নেই। তবে তিনি নতুন পদে যোগ দিয়ে আর কী-ই বা করবেন? এই ভাবনাই সম্ভবত তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় বলে মনে করছে পরিবার। তবে আশিস তরফদারের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারণও থাকতে পারে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষা তাঁর।