ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একদিকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান, অন্যদিকে ছাব্বিশের ভোটের আগে কেন্দ্রের চাপিয়ে 'এসআইআর-রাজনীতি'। এই জোড়া হাতিয়ার নিয়েই নতুন বছর কেন্দ্র বিরোধিতায় শান দিতে প্রস্তুত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR বিরোধিতার সঙ্গেই রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজকে সামনে রেখে লড়াইয়ে নামছে শাসক শিবির।
শনিবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক জানালেন, ''২ জানুয়ারি থেকে একটা কর্মসূচি শুরু করছি। রাজ্য সরকারের গত ১৫ বছরের কাজ নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি। এর আগেও গিয়েছি। আবারও আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি সরকারের কাজ নিয়ে। বিস্তারিত রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় যাব।'' আরও জানালেন, ''SIR নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাব। বাংলার ভোটার তালিকা থেকে মানুষকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় থাকব।'' তিনি আরও জানান, ''২ জানুয়ারি বারুইপুর থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। আমি আগামী একমাস রাস্তায় থাকব। ৩ তারিখ আলিপুরদুয়ার যাব।''
এদিন ছাব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়ের স্লোগানও প্রকাশিত হল। এবারও বিজেপিকেই প্রধান রাজনৈতিক শত্রু ধরে স্লোগান, 'যতই করো হামলা/আবার জিতবে বাংলা।' এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ''বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না। মানুষ জবাব দেবে। মাথা নত করতে হলে বাংলার মানুষের কাছে করব।''
আগামী ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন একটি রাজনৈতিক চাল বলে মনে করে এ রাজ্যের শাসকদল। এসআইআরের নামে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার ছক করা হয়েছে বলেও অভিযোগে সরব তৃণমূল। এখন খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলায় অনেক কম ভোটার বাদ পড়েছেন। এই তথ্য-পরিসংখ্যান হাতিয়ার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন দপ্তর ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাইবেন, কোন যুক্তিতে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?
