সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বর্বর ঘটনা অসমে (Assam)। ৭০ বছরের বিধবাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ২৩ বছরের এক অটোচালক। বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে অপহরণ করা হয় ওই বৃদ্ধাকে। এর পর এলাকার একটি ক্ষেতে এবং অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই অটোচালককে। পুলিশের দাবি, অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বৃদ্ধাকে।
অসমের পালনঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান ৭০ বছরের ওই বিধবা। ঘটনাটি ২৫ জানুয়ারি রাতের। অভিযুক্ত অটোচালক অসমের কছাড় জেলায় ভুবনদহর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দিন রাত ৮টা নাগাদ দর্মিখাল এলাকায় বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান থেকে একাই হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই অটোচালক তাঁকে জোর করে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে টেনে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এর পর তাঁকে আরও একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় অটোচালকের সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন।
[আরও পড়ুন: হিন্দুত্ববাদীদের ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী মিছিল মুম্বইয়ে, দাবি উঠল ধর্মান্তর বিরোধী আইনেরও]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত অটোচালক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, “আমি থাপ্পড় মেরেছিলাম মহিলাকে। দাঁত ব্যবহার করে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়েছিলাম। মাঠে ধর্ষণ করার পর আমি এবং আমার এক বন্ধু তাঁকে অটোরিকশায় করে আরেক জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করি।” এদিকে বর্বর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৭০ বছরের বিধবা। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অসম পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তিতে সঙ্গী তুষারপাত, শ্রীনগরে রাহুলকে ঘিরে আবেগপ্রবণ দলীয় কর্মীরা]
প্রসঙ্গত, গতকালই গুজরাটের একটি বর্বর ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। সন্তানহীনা মহিলাকে সন্তান ধারণে সাহায্যের নামে মন্দিরের চত্বরেই ধর্ষণের অভিযোগ এক সাধুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুজোপাঠ ও তন্ত্রমন্ত্রের নামে মোট তিনবার মহিলাকে মন্দিরে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান সাধু। তৃতীয়বার মহিলাকে ধর্ষণ করেন তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত সাধুকে।