সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) উৎপাদনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সম্প্রতি টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলাকালীন তা অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি করেছিলেন আবিষ্কর্তারা। কিন্তু জনা কয়েক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় তাদের দাবি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
এরপরই বুধবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে স্বীকার করা হয়, তাদের প্রতিষেধক তৈরির পদ্ধতিতে ত্রুটি ছিল। ট্রায়াল চলাকালীন তা ধরা পড়ায় ফের নতুন করে কি গোটা প্রক্রিয়া চালু করতে হবে? আবিষ্কর্তাদের দাবি, ডোজের মাত্রার দিকে আরও বেশি যত্নবান হলেই ত্রুটি সংশোধন সম্ভব।
[আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে রেকর্ড করে রাখুন প্রিয় মানুষের কন্ঠস্বর, কেন এমন বলছেন চিকিৎসকরা?]
ট্রায়ালে যাঁদের শরীরে কম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে, দেখা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Oxford-Asrtazeneca) করোনা ভ্যাকসিন। আর যাঁরা পুরোমাত্রায় ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে তুলনায় অনেকটাই কম কাজ করছে তা, ৬০ থেকে ৬২ শতাংশ। এখানেই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। কেন এই হেরফের? এই ভ্যাকসিনের নিয়ম অনুযায়ী, রোগ প্রতিরোধের জন্য দুটি ডোজই কার্যকরী। তাহলে পুরোমাত্রায় ডোজ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এতটা কম কাজ করল কেন তা? জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ড এবং ব্রাজিলে এর ট্রায়াল চলাকালীন সোমবারই সাফল্যের দাবি করেছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাতেই বিতর্কের মুখে পড়েছিল তারা। কেন চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করেই এই ঘোষণা?
[আরও পড়ুন: ৯০% কার্যকরী হতে পারে তাদের করোনা ভ্যাকসিন, তৃতীয় দফা ট্রায়ালের পর দাবি অক্সফোর্ডের]
এসবের পরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়, প্রতিষেধক উৎপাদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। ডোজের মাত্রা তাই ঠিকমতো নির্ধারণ করা যায়নি। এবার সেই ত্রুটি সংশোধন করে হয়ত নতুন করে ডোজের মাত্রা ঠিক করা হবে।
করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকটি দেশ দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে। তাদের সকলের মধ্যে এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগ। সেই ফর্মুলায় গাঁটছড়া বেঁধে ভারতে প্রতিষেধক তৈরি করছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII)। তাদের তরফে জানানো হয়, এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে তার দামও সাধারণের নাগালের মধ্যেই হবে। তাতেই প্রতিষেধক প্রাপ্তির আশা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু বুধবার সংস্থার ত্রুটিস্বীকার সংক্রান্ত বিবৃতির পর তা কয়েক কদম পিছিয়ে গেল বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।