সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল। মহাশূন্যের এক অনন্ত বিস্ময়। আজও যার সম্পর্কে বহু কিছুই অজানা রয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। ছায়াপথের কালো হৃদয়ে শায়িত বিরাট ব্ল্যাক হোলগুলির (Black hole) মধ্যে সেঁধিয়ে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ সূর্যের সমান ভর! কিন্তু কী করে মৃত্যু হয় ব্ল্যাক হোলগুলির? এবার সেসম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা।
ব্ল্যাক হোলের একটি বিশেষ শ্রেণিকে AGN অর্থাৎ অ্যাকটিভ গ্যালাক্টিক নিউক্লেই নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা। এদের বৈশিষ্ট্যই হল তাদের শরীর থেকে এক্স রে জাতীয় বিকিরণ ও রেডিও তরঙ্গ নির্গত হয়। কিন্তু এই মহাবিশ্বের অমর কেউই নয়। পরাক্রমশালী ব্ল্যাক হোলেরও শেষ আছে। সেটা বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই জানেন। কিন্তু ঠিক কখন ও কেমন করে তাদের মৃত্যু হয়, তা আজও বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: সৌরজগত পেরিয়ে আরও সুদূরে পাড়ি সম্ভব? আশা জাগাচ্ছে নাসার পারমাণবিক ঘড়ি]
জাপানের (Japan) তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোহেই ইচিকাওয়ার নেতৃত্বে গবেষণা করতে নেমে এক গবেষক দল একটি সূত্র পেয়েছে। সুদূরে অবস্থিত Arp 187 ছায়াপথে তাঁরা এমন এক AGN ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যেটি মৃতপ্রায়।
৩ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ থেকে এব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন তাঁরা। Arp 187 ছায়াপথে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটির অবস্থাকে তাঁরা বর্ণনা করেছেন light echo হিসেবে। এই ব্ল্যাক হোলটির শরীর থেকে যে বিকিরণ বেরতে দেখা গিয়েছে, তা অনেকটাই নিভন্ত উনুন থেকে নির্গত হওয়া মৃদু ধোঁয়ার মতো। যা থেকে পরিষ্কার, নির্জীব হয়ে পড়ছে ব্ল্যাক হোলটি।
ইচিকাওয়া এই পর্যবেক্ষণ থেকে অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাঁরা একই ভাবে আরও মৃতপ্রায় ব্ল্যাকহোলকে নিরীক্ষণ করে বুঝে নিতে চান বিষয়টি। ব্ল্যাক হোল থেকে নির্গত গ্যাসের তারতম্য দেখে কীভাবে তাঁদের কার্যক্ষমতা ফুরিয়ে আশার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে তাও তখন স্পষ্ট করে বোঝা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।