সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। গতকাল অর্থাৎ সোমবার ফল ঘোষণার দিন হওয়া হিংসায় নিহত হয়েছেন আটজন। সবমিলিয়ে, নির্বাচনী হিংসায় এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পঞ্চান্ন জনের।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চমক, আওয়ামি প্রার্থীকে হারিয়ে নজির বৃহন্নলার]
সোমবার তৃতীয় দফায় সকাল আটটায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল চারটে নাগাদ। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারিদিক থেকে হিংসার খবর আসা শুরু হয়। কেন্দ্র দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘাত। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করলেও ইউপি নির্বাচনে হানাহানি থামছেই না। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দু’জন। নিহতরা হলেন- ঘিডোব গ্রামের আদিত্য (১৮), ছিট ঘিডোব গ্রামের মোজাহারুল ইসলাম (৩৫) ও হাবিবপুর গ্রামের হোসেন (২৬)।
ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ সদস্য সগেন্দ্রনাথ বলেন, রবিবার রাত ৮টার দিকে ভোটের ফলাফল গণনার পর নির্দল প্রার্থী নুরুজ্জামান এবং তার সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসার-সহ অন্য অধিকারিকদের ঘিরে ফেলে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের উদ্ধারে হরিপুরে ইউএনও বিজিবির ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষুব্ধরা তাদের ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মরক্ষায় বিজিবি-সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা গুলি করলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয় এবং চারজন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে দু’জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামি লিগের বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে পরাজিত নির্দল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় কক্সবাজারে একজন নিহত হয়েছেন। জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের হাফেজখানা সড়কে রবিবার রাতে তারা হতাহত হন বলে চকরিয়া থানার ওসি ওসমান গনি জানান। সবমিলিয়ে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ।