সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের দুটি গ্রামে ISIS জঙ্গিদের হামলার ফলে প্রাণ হারালেন ৭৯ জনের বেশি। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে নাইজারের পশ্চিমপ্রান্তে অবস্থিত মালি সীমান্তের কাছে। এই খবর পাওয়ার পরেই ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাচে আলহাদা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার নাইজারের (Niger) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ফল ঘোষণা করা হচ্ছিল। এর মাঝেই খবর আসে নাইজারের পশ্চিম প্রান্তে মালি সীমান্তে অবস্থিত টিচোমবাঙ্গু (Tchombangou) ও জারোমদারে (Zaroumdareye) গ্রামে হামলা চালিয়ে ৭৯ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা। জখম হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোকেরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও আইএসআইএস জঙ্গিরাই এর পিছনে রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনিক কর্তাদের।
[আরও পড়ুন: ট্রাম্প জমানার ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ শেষ, বিডেনের আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক ফেরানোর বার্তা চিনের ]
এপ্রসঙ্গে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাচে আলহাদা (Alkache Alhada) জানান, শনিবার প্রথমে মালি সীমান্তে অবস্থিত টিচোমবাঙ্গু গ্রামে হামলা চালিয়ে ৪৯ জন গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর ফলে জখম হন আরও ২০ জন। পরে কিছুটা দূরে জারোমদারে গ্রাম থেকেও ৩০ জনকে খুন করার খবর পাওয়া যায়। জখম হয়েছেন ১০ জনের বেশি। ইতিমধ্যেই সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম আফ্রিকার দেশে নাইজারে প্রায়শই হামলা চালায় বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের জঙ্গিরা। আসলে দেশটির অবস্থানগত কারণের জন্যই এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। নাইজার-মালি বা নাইজার-বুরকিনা ফাসো সীমান্তে হামলা চালায় আল কায়দা বা আইএসআইএসের মতো জঙ্গি সংগঠন। অন্যদিকে নাইজেরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় হামলা চালায় বোকো হারাম জঙ্গিরা। এর ফলে নাইজারের সাধারণ মানুষের জীবন ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।