সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত জুনেই বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও সাতটি দেশ এবং প্যালেস্টাইনের নাম। পাশাপাশি আরও পনেরোটি দেশের নাগরিকের আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমেরিকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ মিলিয়ে মোট দেশের সংখ্যা পৌঁছল ৩৯-এ।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে পাঁচটি দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল সেগুলি হল বুরকিনা ফাসো, মালি, নিগার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া। এছাড়া প্যালেস্টাইনের ভ্রমণ নথি যাঁদের, তাঁরাও মার্কিন মুলুকে প্রবেশাধিকার পাবেন না। উল্লেখ্য, যেহেতু প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি আমেরিকা, তাই তাদের রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও লাওস এবং সিয়েরা লিওনের উপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আগেই এই দেশগুলির নাগরিকদের ক্ষেত্রে আংশিক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা ছিল। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে যে বারোটি দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল সেগুলি হল- আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মায়ানমার, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। আরও ৭টি দেশের নাগরিকদের উপর কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ কার্যকর করে হোয়াইট হাউস। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদেও মুসলিম-প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকা প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প। সেই দেশগুলি হল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের দুজন সদস্যকে গুলি করে এক বন্দুকবাজ। পরে একজন মারাও যান। এরপর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ রুখতে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানান। এমনকী, ‘তৃতীয় বিশ্ব’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী স্থগিতাদেশের’ ঘোষণাও করেন। এবার বাড়ানো হল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা দেশের সংখ্যাও। যদিও নিজের দেশেই এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ট্রাম্পকে। মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ডেমোক্র্যাট রাশিদা তায়েবের দাবি, এভাবে দেশটির জনবিন্যাসই বদলে ফেলতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
