সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে সাড়ে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা (Rohingya) নাগরিক রাজনৈতিক আশ্রয় রয়েছেন। পাশাপাশি খাদ্য-বস্ত্রের সংস্থানও করা হয়েছে তাঁদের জন্য। কিন্তু তাঁরা ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। সেখানে মায়ানমার থেকে যাওয়া শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থীর উপর হামলা চালাল একদল ছাত্র। তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে হামলা চালায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র। বুধবার বান্দা আচে শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আশ্রয় শিবিরে চড়াও হওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই সবুজ জ্যাকেট পরা। তারা ভবনের বেসমেন্টের দিকে ছুটে যায়। যেখানে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরা বসেছিল। ভয়ে তারা কান্নাকাটি করছিল। পরে তাদের ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা UNHCR এক বিবৃতিতে এ কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে শরণার্থী পরিবারগুলোর জন্য আরও ভালো সুরক্ষা ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষুব্ধরা পুলিশ বেষ্টনী ভেঙে জোর করে ১৩৭ জন শরণার্থীকে দুটো ট্রাকে তুলে বান্দা আচের আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। এতে শরণার্থীরা হতভম্ব হয়ে যান। কেউ কেউ আতঙ্কে ভুগতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম! লোকসভার আগে মাথায় হাত কংগ্রেসের]
আশ্রয় শিবিরে ওই হামলা অনলাইনে অনবরত মিথ্যা তথ্য এবং ঘৃণা বক্তব্য ছড়ানোরই ফল বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। কয়েক মাস ধরেই অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছতে শুরু করেছে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা। গত কয়েক সপ্তাহে কাঠের নৌকায় করে দেশটির আচে প্রদেশের উপকূলে পৌঁছায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের এই ঢলে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিরূপ মনোভাব বাড়ছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সাম্প্রতিক এই রোহিঙ্গা ঢলের জন্য মানব পাচারকে দায়ী করেছেন। রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।