সুকুমার সরকার, ঢাকা: হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতারা। যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া খালেদা জিয়ার দল। এভাবেই বিরোধী দল বিএনপিকে ফের একবার তোপ দাগলেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত মাস দেড়েক ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন। তাদের সঙ্গ দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে, বাজারের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে বিএনপি। এমন অভিযোগও রয়েছে আওয়ামি লিগের। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, "আমরা সব সময় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা জনগণকে উপর শাসন-শোষণ চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর তারা এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টা করছে।"
[আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত? রিপোর্ট তলব বাংলাদেশ হাই কোর্টের]
নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরে কাদের বলেন, "এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।"
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন শেখ হাসিনা। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন রুখে দিতে নানা চক্রান্ত করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই ধোপে টেকেনি। তাই পরিকল্পনা করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশে ভারত বিরোধিতার ঝড় তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা নিয়ে কয়েকদিন গত মাসেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।