সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল পুলিশের। যা পর পর সাজালে খুনের ঘটনা সম্পর্কে চিত্র খানিকটা স্পষ্ট হয়। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। ধৃতদের একজন নাবালক বলে প্রথমে তথ্য মিললেও, পরে হাড়ের পরীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে, সে নাবালক নয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ এও জানতে পেরেছে, খুনের জন্য তিনজনের প্রত্যেককে আগাম ৫০ হাজার টাকা করে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে বন্দুক আনা হয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের ঠিক আগের দিন। তদন্ত সূত্র বলছে, জলন্ধর থেকে মুম্বই - মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীর হত্যারহস্যের জাল ছড়ানো বহুদূর।
শনিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দশেরা উৎসব পালনের সময় খুন হন প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তিনি বেশ জনপ্রিয় নেতা। উৎসবের মরশুমে এহেন হত্যাকাণ্ড তোলপাড় ফেলে গোটা রাজ্যে। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পরই কুখ্যাত এই খুনের সঙ্গে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং দায় স্বীকার করে। ধৃতদের পরিচয় নিয়ে চমকপ্রদ সব তথ্য হাতে আসে পুলিশের। মূল পান্ডা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মহম্মদ জিশান আখতার দুবছর আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতির মামলা ছিল। পাতিয়ালা জেলেই তার সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ হয়। জেলমুক্তির পর সে মুম্বইয়ে এসে এসব কাজে হাত পাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার মূল চক্রী এই আখতার। সে-ই বাকিদের নির্দেশ দিয়েছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটাতে হবে। তার জন্য আগেভাগে সকলকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে বন্দুক এনে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, স্থানীয় এলাকায় আলাদা ঘরভাড়া করা হয়েছিল। সেই ব্যবস্থাও করেছিল আখতার। শনিবার গুলি চালিয়ে বাবা সিদ্দিকিকে ঝাঁজরা করে দেওয়ার পর থেকে আখতার পলাতক। তবে সে মুম্বইয়ে কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলছে।