সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই দলবদল ছেলের! শরদ পওয়ারের দল এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তাঁর মৃত্যুর পর শুক্রবার অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে এবার জিশানকে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে টিকিটও দিলেন অজিত পওয়ার।
২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন জিশান। তবে গত আগস্ট মাসে বিধানসভা কাউন্সিলের নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করে হাত শিবির। নির্বাচনের ঠিক আগে এবার অজিত পওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিলেন বাবা সিদ্দিকির পুত্র। এনসিপিতে যোগ দিয়ে জিশান বলেন, 'আমার ও আমার পরিবারের কাছে এই দিনটা আবেগের। এই কঠিন সময়ে আমার পাশে থাকার জন্য অজিত পাওয়ার, প্রফুল প্যাটেলদের ধন্যবাদ জানাই। বান্দ্রা (ইস্ট) থেকে লড়ব। আশা করি গতবারের মতো এবারও মানুষের ভালবাসা পাব।' এই কেন্দ্রের তাঁর প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন বরুণ সরদেশাই। যিনি আবার উদ্ধব ঠাকরের ভাইপো।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও দাউদ গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা। তবে বাবার মৃত্যুর পর নির্বাচনের ঠিক আগে এবার 'ইন্ডিয়া' জোটের সঙ্গ ছেড়ে 'এনডিএ' শিবিরে যোগ দিলেন জিশান।
২০ নভেম্বর মারাঠাভূমে নির্বাচন। গণনা ২৩ তারিখ। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এবার পালাবদলের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার)। সেই লক্ষ্যে ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে গতকালই সম্পন্ন হয়েছে আসন রফা। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার) প্রত্যেকের ঝুলিতে এসেছে ৮৫ আসন। অর্থাৎ, ২৫৫ আসনে লড়ছে এই তিন প্রধান দল। বাকি ৩৩টি আসন দেওয়া হয়েছে অন্যান্য শরিক দলগুলোকে।