সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যাদের কাজ তাঁরা যদি ফিট না হন। অকারণ স্থুলকায়ত্ব, মেদ কিংবা ভুড়ি যদি পেয়ে বসে সেনা জওয়ানদের। তাহলেই তো বিপদ। শত্রুদের সঙ্গে ক্ষীপ্রতায় তাঁরা পেরে উঠবেন কী করে? তাই ফিটনেস জরুরি। আর এই ফিটনেস বাড়াতে নয়া দাওয়াই দিল ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর উত্তর পশ্চিম শাখা। উপকূল রক্ষা বাহিনীর নয়া সিদ্ধান্ত, যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা আর মদ কিনলে ভরতুকি পাবেন না।
[বিমানবন্দরে এবার স্বল্পমূল্যে চা-পানীয় জলের বন্দোবস্ত কেন্দ্রের]
বাহিনীর যে সব সদস্যদের ওজন বেশি, তাঁরা মদ কেনায় কোনও ছাড় পাবেন না বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ডের নর্থ ওয়েস্ট শাখা। এই নিয়ে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাহিনীর সদস্যদের কাছেও। দু’টি কারণে উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তর-পশ্চিম শাখা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি পাকিস্তান সীমান্ত, দ্বিতীয়টি অবশ্যই আরব সাগর। উপকূল রক্ষা বাহিনীর মূল কাজ সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল সুরক্ষিত রাখা। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পাকিস্তান থেকে যে সব সন্ত্রাসবাদীরা জলপথে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে তাঁদের আটকানো।
[নেতা-রণনীতি কোনওটাই নেই বিরোধীদের, মহাজোট প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিজেপির]
কিন্তু সমস্যা হল, ওজন বেশি হওয়ায় বাহিনীর অনেক সদস্যকেই সমুদ্র বা জাহাজে পোস্টিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমশ মোটা হতে থাকা এই আধিকারিকদের নাকি কোস্ট গার্ডের তরফে বারবার সতর্কও করা হয়েছে। কিন্তু কথা কানে তোলেননি কেউই। তাই বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল উপকূলরক্ষা বাহিনী। মোটা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মদকেই চিহ্নিত করছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা। সমস্ত পদাধিকারীরাই এই নির্দেশিকার আওতায় আসবেন বলে জানানো হয়েছে। বাহিনীর কমান্ডাররা মনে করছেন, জলসীমা পাহারা দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মোটা বা আনফিটদের কোনও জায়গা নেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন ক্যান্টিন থেকে ভরতুকিতে মদ কিনতে পারেন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যেরা। তাঁদের জন্য আছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। বাজার চলতি দাম থেকে যা অনেকটাই কম। এবার কিন্তু আর তা হবে না, এবার মোটা সেনাকর্মীদের মদ কিনে খেতে হলে খেতে হবে বাজার চলতি দাম দিয়েই।